 
                                            
                                                                                            
                                        
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় দেওয়া সম্ভব হবে। এ রায় হলে দেশ আরও একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ রোববার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারি তথ্য বিবরণীতে তা জানানো হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ১৭ জন পলাতক। এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নিয়মতান্ত্রিকভাবে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। ২১ আগস্ট কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২১ আগস্ট হচ্ছে বাংলাদেশকে ব্যর্থ করার জন্য যে ষড়যন্ত্র, তারই ধারাবাহিকতা।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং সেই নির্বাচন জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই হবে। কোন দল নির্বাচনে এল, আর কোন দল নির্বাচনে এল না, সেটা সেই দলের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু কোনো একটা দল নির্বাচনে আসবে না, আর সে জন্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে, বাংলার জনগণ তা হতে দেবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।