২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন

লেখক:
প্রকাশ: ৫৭ minutes ago

২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী বছর সব মিলিয়ে ছুটি আছে ২৮ দিন। এর মধ্যে নয় দিন শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম বলেন, ‘নির্বাহী আদেশে এবং সাধারণ ছুটি মোট ২৮ দিন। তার মধ্যে ৯ দিন হচ্ছে শুক্র ও শনিবার। ফলে আসল ছুটি যেগুলো কর্মদিবসে পড়েছে সেটা হচ্ছে ১৯ দিন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এটা আজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

লজিস্টিক নীতিমালা নতুন করে প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালে একটা নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি কাজ করার উপযোগী ছিল না। সেখানে ২-৩ পাতা শেখ মুজিবের বন্দনা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘এটা কোনো আইন না, তবে একটা নীতিমালা থাকলে সরকার তার কাজগুলো ঠিকমতো করতে পারে, দিক নির্দেশনা পায়। আজ পাস হওয়া নীতিমালার ফলে বাংলাদেশে লজিস্টিক ইস্যুগুলো খুব দ্রুত নির্ণয় করা যাবে। ফলে দেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়বে, প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে, বাংলাদেশের রপ্তানির যে অবস্থা প্রতিযোগিতামূলক অন্যান্য দেশের তুলনায় সেটি আরও ভালো হবে। এখন দেখা যাচ্ছে পণ্য অনেক ক্ষেত্রে ১১ দিনের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকতো। এই নীতিমালা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে বাংলাদেশে পণ্য পরিবহন এবং সহজলভ্যতা খুব দ্রুত হবে। আমরা রপ্তানিও খুব দ্রুত করতে পারবো। ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলো আরও আগ্রহী হবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘২০২৪ সালে এরকম একটা নীতি করা হয়েছিল। কিন্তু সেটাকে সচিব কমিটি পুনর্মূল্যায়ন করে দেখেছে যে, এটা প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। যেটা হয়েছে নীতির দুই-তিন পৃষ্ঠাজুড়ে শেখ মুজিবের বন্দনা ছিল। এই নীতির মূল ফোকাস হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের লজিস্টিকাল যে ইস্যুগুলো তার ফোকাস থাকবে রেল ও নৌ পরিবহনের ওপরে। আমাদের ৩ হাজার কিলোমিটার নৌ ও রেলপথ আছে। কিন্তু এটার পরিপূর্ণ ব্যবহার আমরা করতে পারিনি। সাত মাস নদীগুলো চলাচলের উপযুক্ত থাকলেও আমরা তা কাজে লাগাতে পারি না। এখানে সরকারি বেসরকারি দুই খাত থেকেই বিনিয়োগের জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। এই নীতিমালায় ১১টি অধ্যায় আছে এবং এর পুরোটা একটা পরিবেশবান্ধব লজিস্টিক নিশ্চিত করা হচ্ছে।’