ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে চলমান এসব ঘটনাবলীর মধ্যে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে দেশটি বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান বুধবার বাংলাদেশের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের অবসান ঘটানো মারাত্মক বিক্ষোভের পর বাংলাদেশ ‘শান্তিপূর্ণভাবে এবং দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেছে দেশটি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে আন্তরিকভাবে শান্তিপূর্ণ এবং দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করছে পাকিস্তান।’
এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিত, বাংলাদেশের জনগণের দৃঢ় চেতনা এবং ঐক্য তাদের উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে হাসিনা গত সোমবার পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে সম্ভবত যুক্তরাজ্যে আশ্রয় নিতে তিনি লন্ডনে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের যে অভিবাসন আইন রয়েছে; সেখানে কোনো ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ করে এসে রাজনৈতিক বা সাধারণ আশ্রয় নেওয়ার বিধান নেই।
এছাড়া কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হওয়া শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছে।