 
                                            
                                                                                            
                                        
রাজধানীসহ সারাদেশে ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা বাড়ছেই। অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঠেকেছে ২০০ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে বাজারে সয়াবিনসহ নিত্যপণ্য অতিরিক্ত দামে বিক্রি ঠেকাতে যৌথ অভিযানে নামছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জাগো নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে বৈঠক হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী মিটিং করেছেন, সব সংস্থা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সেটি নিয়ে গণমাধ্যমে মন্ত্রী কথাও বলেছেন। ওটার পরে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’
বাজারের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার কী ভূমিকা রাখছে, জানতে চাইলে সফিকুজ্জামান বলেন, ‘মিটিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ভোক্তা অধিকার কী করবে, সেটা বলেছেন। আমরা যৌথ অপারেশনে নামবো। এটা যারা ম্যানুপুলেট করছেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করবো। আমাদের অপারেশন চলছে। আমরা একদম রুট লেভেলে চলে গেছি। কোথায় এটির ম্যানুপুলেট হচ্ছে, ডিলার-মিলার, সাপ্লাইয়ার সবাইকে আমরা শনাক্ত করছি।’
এরআগে বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রির বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘এজন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, ভোক্তা অধিকার আছে, যাদের এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। আমরা এবার ডিসি এবং প্রশাসনের সাহায্য নিয়েছি। এ ধরনের কাজ (বেশি দামে পণ্য বিক্রি) যারা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাজার মনিটরিংয়ে অভিযান চালানো হবে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে যেরকম প্রয়োজন, যদি কোথাও যৌথ দরকার পড়ে যৌথ করবো। শুধু পুলিশ যদি পারে, পুলিশ করবে, ডিসি করবে, ভোক্তা অধিকার করবে। সবারই ম্যাজিট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা আছে। যার যার মতো করে করবে। যদি কোথাও মনে করে, সবাই এক সঙ্গে যাওয়া দরকার, এক সঙ্গেই যাবে।’