সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ সরানো হতে পারে আজই

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ ‘এভার গিভেন’ শনিবারই সরানো সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিক জাপানিজ প্রতিষ্ঠান শোয়েই কিসেন কাইশা লিমিটেড। খবর বিবিসির।

শোয়েই কিসেনের প্রেসিডেন্ট য়ুকিতো হিগাকি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুয়েজ খালের তীর ও তলানি খননের জন্য ১০টি টাগবোট নিয়োগ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও জাহাজটি সরানোর জন্য সাহায্যের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে যেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দলও থাকবে।

হিগাকি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অতিরিক্ত সরঞ্জামের মাধ্যমে তারা জাহাজের নিচের পলি সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি জানান, টোকিওর স্থানীয় সময় অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই জাহাজটি সরানো সম্ভব হবে বলে তারা আশা করছেন।

তিনি বলেন, ‘জাহাজটিতে পানি ঢুকছে না। এটির রাডার ও প্রোপেলারে কোনো সমস্যা নেই। যখন এটি সরানো হবে, এটি চলাচলে সক্ষম হবে।’

তবে জাহাজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি বার্নহার্ড শুল্ট শিপম্যানেজমেন্ট (বিএসএম) শুক্রবার জানায়, জাহাজটি সরানোর জন্য একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, সুয়েজ খাল পুনরায় খোলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান সাকি।

পণ্য পরিবহন বিষয়ক জার্নাল লয়েড’স লিস্টের তথ্যমতে, সুয়েজ খালে মালবাহী জাহাজটি আটকে যাওয়ায় প্রতিদিন ৯৬০ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন আটকে আছে। এর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হচ্ছে ৪০ কোটি ডলার।

আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে সুয়েজ খাল। লয়েড’স লিস্ট জানায়, এই খালের পশ্চিম দিক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫১০ কোটি ডলার ও পূর্ব দিক দিয়ে প্রতিদিন ৪৫০ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন করা হয়।

মঙ্গলবার জাহাজটি সুয়েজ খালের তলানির সঙ্গে আটকে যায়। জাহাজটি খালের মাঝ বরাবর আটকে যাওয়ায় দুদিক থেকে আর কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। এটির দুই দিকে ১৬০টিরও বেশি জাহাজ আটকে আছে। এর মধ্যে ৪১টি মালবাহী ও ২৪টি তেলবাহী জাহাজ রয়েছে।