কথায় আছে- ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি’। তাই দর্শন মানে সুস্থ ত্বক, যা পেতে হলে খাদ্যগ্রহণ থেকে তার শুরুটা হওয়া উচিত। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস যদি স্বাস্থ্যকর না হয়, তাহলে সুস্থ ত্বক আমরা কখনোই পাবো না। সুস্থ ত্বকের চাবিকাঠি হলো- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
তাই আমরা যারা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস চর্চা করি না, তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনা সর্বপ্রথম কাজ। ভাজা খাবার এবং অতিরিক্ত তেল মসলাযুক্ত খাবার দৈনন্দিন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে তাজা ফলমূল, ফ্রেশ জুস খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ত্বক সতেজতার আরো একটি অংশ। ত্বক সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নিয়মিত ব্যয়াম শরীরের সঙ্গে ত্বক সুস্থ রাখার আরেকটি উপায়। তাই নিয়মিত তাজা ফলমূল খাওয়া, ব্যায়াম করা ও পর্যাপ্ত পানি পান করা ত্বকের সজীবতা বজায় রাখার মূলমন্ত্র।
আপনি যদি দীর্ঘ সময় এসি রুমে বসে কাজ করেন, তাহলে হাতমুখ ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং সেটা হতে হবে অবশ্যই আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী।
আমাদের ত্বক তিন ধরনের হতে পারে। যেমন- তৈলাক্ত, শুষ্ক, মিক্সড। তৈলাক্ত ত্বকের গ্রন্থির কার্যক্রম বেশি হওয়ায় হওয়ায় অতিরিক্ত তৈল নিঃসৃত হয়। তাই সঠিক ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করাটা খুবই জরুরি। আর যদি ত্বকের গ্রন্থি কম সক্রিয়তার হয় তাহলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক। সেক্ষেত্রে শুষ্ক ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। মিক্সড ত্বকের জন্য প্রয়োজন নরমাল ময়েশ্চারাইজার।
আপনার ত্বক যদি স্যাজি হয়, তাহলে স্ক্র্যাব জাতীয় ফেসওয়াস ব্যবহার করবেন না এবং ত্বক বেশি ঘষবেন না।
শীতের মধ্যেও অবশ্যই সূর্যের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মির প্রকোপ থেকে ত্বককে বাঁচাতে হবে। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক মাত্রার সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন নিয়মিত ২/৩ ঘণ্টা পরপর মুখে বা শরীরের উন্মুক্ত অংশে ব্যবহার করতে হবে। অবশ্যই ভালো কোম্পানির হতে হবে যেখানে এসপিএফ সঠিক মাত্রা নিশ্চিত করে। ত্বক নিয়মিত ক্লিনজিং, ময়েশ্চারাইজিং, টোনিং এর পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যয়াম ত্বকের সজীবতার চাবিকাঠি।
লেখক: ত্বক, চুল, অ্যান্টি-এজিং স্পেশালিস্ট, লেজার অ্যান্ড কসমেটিক সার্জন, টোটিসেল হেলথ অ্যান্ড রিসার্চ, ধানমন্ডি, ঢাকা।