ডাক্তার মঈনের এমন অকাল প্রয়াণে নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তাকে গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নের নাদামপুরে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
ডাক্তার মঈনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু এ সময় কাউকে মরদেহের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে স্থানীয় মসজিদের ইমামের মাধ্যমে তার জানাজার অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবারের ইচ্ছায় গ্রামের বাড়িতেই পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের পাশে দাফন করা হয়েছে ডা. মঈন উদ্দিনকে। সংক্রমণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে দাফন করা হয় বলে জানিয়েছেন ছাতক উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপস শীল।
গত ৫ এপ্রিল সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী হিসেবে এই চিকিৎসককে শনাক্ত করা হয়। সেদিন রাতে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে ওই চিকিৎসকের করোনা পজিটিভ পাওয়ার তথ্য জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল। ৭ এপ্রিল রাতে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসা থেকে ওই চিকিৎসককে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেয়া হয়। প্রথমে হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হলেও পরে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখা হয়। ৮ এপ্রিল ঢাকায় পাঠানো হয় এই চিকিৎসককে। সাতদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।