সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে যাদুকাটা, সুরমা, ধোপাজানসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পানি বাড়ায় জেলার তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকার প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক ডুবে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাত ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি ১১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে জেলার সব শাখা নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা রয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা লায়েক মিয়া বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। খুবই চিন্তায় আছি ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায় কিনা। গতবারের বন্যায় মানবেতর জীবন-যাপন পার করেছি, সেটা এখনো ভুলতে পারিনি।’

 

আকস্মিক নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন তাহিরপুর উপজেলার বালু ও পাথর শ্রমিকরা। সেই সঙ্গে যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষা শাহেদাবাদ গ্রামে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এতে শঙ্কায় দিন পার করছেন ওই গ্রামের বাসিন্দারা।

শাহেদাবাদ গ্রামের লিটন আহমেদ বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে আমাদের পাড় ভেঙ্গে নিয়ে যায়, খুবই আতঙ্কে আছি। এর মধ্যে, অনেকের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। নদী থেকে পাথর, বালু তুলতে না পারায় বেকার হয়ে গেছি।’

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা বলেন, ‘সুনামগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৫ জুন ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। পানিবন্দি হয়ে পরেছিলেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ। হারিয়ে ছিলেন ঘর-বাড়ি।