আগের এগারো মুখোমুখির প্রথম ও শেষ দুটিতেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। তাই বলে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের রেকর্ড যে খুব ভালো তা বলার সুযোগ নেই। এগারো বারের দেখায় সাতটিতে বাংলাদেশ জিতেছে। তাই মাঠে নামার আগেই বলে দেয়া যায় বাংলাদেশই ফেভারিট।
তবে, সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে আফগানিস্তান যে দুরন্ত গতিতে এগিয়েছে তাতে তাদের অবহেলা করলেই বিপদ। এক বছর আগে চট্টগ্রামে বাংলাদেশকে প্রায় চূর্ণবিচূর্ণ করে দিচ্ছিল তারা।
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান ২১৫ রানে আটকে গেলেও বাংলাদেশ ওই রান তাড়া করতে নেমে ৪৫ রানে হারায় ৬ উইকেট। সেখান থেকে আফিফ ও মিরাজের অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটিতে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ সিরিজ নিশ্চিত করলেও শেষ ম্যাচ হেরে যায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
এক বছর পর একই মঞ্চে আবার মুখোমুখি দুই দল। এবারের লড়াইটা আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতার অংশ নয়। তবে র্যাংকিংয়ে বড় প্রভাব রাখবে। আফগানিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো র্যাংকিংয়ে পাঁচে উঠবে। সঙ্গে রেটিং পয়েন্টও প্রথমবারের মতো একশ পেরোবে। সেই সুযোগটি বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই নেবে।
দলের ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ সিরিজ জয়ের আশাই করলেন, ‘ভালো সিরিজ হবে আশা করছি। ঈদের ছুটি কাটিয়ে এখন আবার ব্যাক টু বিজনেস। সবাই আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে সিরিজ জয়ের আশায় খেলব।’
একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছিল। যা ৮৯ বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যবধানে পাওয়া জয়। নিজেদের সুপারস্টার রশিদ খানকে ছাড়া খেলেছিল আফগানরা। চোট থাকায় মাঠে নামতে পারেননি রশিদ। সীমিত পরিসরে রশিদ ফিরছেন স্বরূপে। তার সঙ্গে রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মুজিব উর রহমানরাও এসেছেন। এই দলটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিরিজের প্রস্তুতিও নিয়েছে। সীমিত পরিসরের দুই ফরম্যাটেই শক্তি ও সামর্থ্যে খুব কাছাকাছি দুই দল। তাই ম্যাচগুলো হয় কঠিন ও রোমাঞ্চকর।
মাঠে আগুনে পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় আছেন তাসকিনও, ‘সব টিমই এখন চ্যালেঞ্জিং। ওরাই তাই। আলটিমেটলি সবার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়েই খেলতে হবে। আমরা প্রস্তুত। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’