সংবাদ প্রকাশের পর ফের বেপরোয়া ভূমিদস্যু জয়নাল

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগঞ্জ থানার রামপুর গ্রামে ভূমিদস্যু জয়নাল হাওলাদার এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। অভিযোগকারীরা ভুমিদস্যু জয়নালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জয়নাল সাধারন মানুষকে জিন্মি করে তাদের জমিজমা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। ভুমিদস্যু জয়নাল হাওলাদার পটুয়াখালী জেলার মীর্জাগঞ্জ থানার রামপুর গ্রামের মৃতঃ লতিফ হাওলাদারের ছেলে। তিনি মির্জাগঞ্জ থানার মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি মাধবখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন তার নিজস্ব কোন কর্মস্থল নেই। তার পেশা হচ্ছে জমির দালালি করে অর্থ ও অন্যের জমি নিজের বলে চালিয়ে দেয়া। অভিযোগ সুত্রে আরো জানাযায়, জয়নাল হাওলাদার এলাকার বিভিন্ন অসহায় মানুষদের জিন্মি করে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। জমি রেকর্ড করে সহযোগীতার নামে তিনি বিপুল পরিমান টাকা হাতাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে জয়নালের অত্যাচার আরো বেড়ে যায়। এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা জয়নালের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তিনি উল্টো ভুক্তভোগীদের জানায় থানা,পুলিশ তার হাতে কিছু বললে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেবে। বর্তমানে তার সন্ত্রাসী বাহীনির ভয়ে সাধারন মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

তারা অভিযোগ করেন জয়নালের সন্ত্রাসী বাহিিন প্রকাশ্যে এলাকায় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ফলে ভুক্তভোগী পরিবারের পুরুষ সদস্যরা তাদের ভয়ে বিভিন্ন ভাবে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ সুত্রে আরো জানাযায় জয়নালের ভুমিদস্যুতা নিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের পক্ষে মোঃ আলতাব হোসেন নামের এক ব্যাক্তি পটুয়াখালী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেছেন। যার নম্বর ৩৩৬/২০০৩। স্থানীয়ভাবে জানাগেছে, এই ভুমিদস্যু জয়নাল হাওলাদার মাঠ পর্যায়ের জরিপ করতে আসা সার্বেয়ারদের খাতিল যতœ করে নিজ বাড়ীতে রেখে অন্যের জমি নিজের বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

রিতিমত তিনি ওই গ্রামের অসহায় মানুষদের জিন্মি করে তাদের জমি নিজের ও তার স্ত্রী সন্তানদের নামে হাতিয়ে নিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছে জয়নাল হাওলাদার পর পর দুটি বিবাহ করেছে। তার প্রথম স্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি আলতাব নামের আর একজনের স্ত্রীকে বিবাহ করেছেন। তাদের নামে বেনামে অত্র এলাকার সাধারন মানুষের জমি নিজেরদের নামে করে নিচ্ছেন। স্থানীয় অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, স্থানীয় ভাবে দালালি করে জয়নাল ইতমধ্যে ৩০ লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আরো জানাযায়, স্থানীয় রফিক প্যাদার জমি জয়নাল তার ছেলে ফরিদ হাওলাদার (লিটন) এর নামে আড়াই শতাংশ জমি হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও ওই এলাকার সিদ্দিক প্যাদার সাড়ে ২৩ শতাংশ, আলতাবে (২৮শ ১৬ দাগে) ৬০ শতাংশ, আঃ কাদেরের ২০ শতাংশ, নুর জামানের ভটিা (জাল দলিলের মাধ্যমে) ২৩ শতাংশ, স্থানীয় সাহাবউদ্দিনের জমি সোহরাব ও সোহেলের সাথে ৩জনকে টাকার বিনিময়ে রেকর্ড করে দিয়েছে।

এছাড়াও বাকেরগঞ্জের বরপাশা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি এলাকায় অন্যের জমি স্ত্রীর নামে করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়য়ে স্থানীয়রা জানান, কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেছে জয়লাল বলে ভুমি অফিস তার হাতের মুঠে। বেশি কলা বললে যেটুকু আছে তাও থাকবেনা। তার ভূমিদস্যুতা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। জানাযায়, কোথাও কোন জমির বিষয় থাকলে বা দখলের চিন্তা থাকলেই সেখানে জয়নালকে ভাড়া করে নেয়া হয়। তিনি কাগজপত্র এদিক সেদিক করে একজনের জমি আর একজনের হাতে তুলে দেওয়ার টেন্ডার নিচ্ছে। এতে করে তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। তার জমির পরিমান কত তা সে নিজেও জানেন কিনা বলে সন্দেহ করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের দাবি এই জয়নালের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। অন্যথায় এলাকার নিরিহ পরিবারগুলো তার কবলে পরে জমি ,জমা ও বসতবাড়ী হারাবে।