বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) ডেঙ্গু রোগী আরও বেড়েছে। শনিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী গত শুক্রবার এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৯০ জন রোগী। যা চলতি মৌসুমসহ সাম্প্রতিক বছরে সর্বোচ্চ চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর রেকর্ড। এর আগে গত বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৫৩ জন, বুধবার ১৬০ জন এবং গত মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন ছিলেন ১৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
হাসপাতালের আড়াই শ’ শয্যা বর্ধিত ভবনের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে মৌসুমের শুরু থেকে সাধারন রোগীদের পাশে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো ডেঙ্গু রোগীদের। এ নিয়ে সমালোচনা হলে একই ভবনে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। ছোট ছোট কক্ষগুলোতে শয্যা দিয়েও কুলাতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। স্থানসংকুলান না হওয়ায় ওই ভবনের নিচতলায়ও ডেঙ্গু রোগী রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শয্যার চেয়ে রোগী বেশী হওয়ায় তাদের অনেককে রাখা হয়েছে মেঝেতে।
ডেঙ্গু ওয়ার্ডের পরিস্থিতি এবং নানা সমস্যা নিয়ে গত প্রায় এক মাস ধরে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশিত হলেও অবস্থার সামান্যতম পরিবর্তনও হয়নি। বরং রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় ওয়ার্ডগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।
নোংরা-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ। দুর্গন্ধে বেশীক্ষণ টেকা দায়। ওয়ার্ডগুলোতে মশা-মাছির বিস্তার হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীদের মশারী দেয়া হলেও কেউ ব্যবহার করেন, কেউ করেন না। ওষুধপত্র বেশীরভাগ বাইরে থেকে কিনতে হয় রোগীদের। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যও রোগীদের কৌশলে বাইরে ঠেলে দেন ডাক্তারা।
এসব বিষয়ে নিয়ে আলাপকালে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ধারন ক্ষমতার কয়েকগুণ রোগী থাকায় তারা নোংরা করে। অপরদিকে পরিচ্ছিন্ন কর্মীরা পরিস্কার করে। রোগীদের সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।