 
                                            
                                                                                            
                                        
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, দেশের জনগন ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে ভুল বুঝিয়ে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসেছে শেখ হাসিনার সরকার। তারা নিয়ম ও সংবিধান রক্ষা করার কথা বলে নির্বাচন করে কথা রাখেনি। ক্ষমতা পেয়ে সরকার সবাইকে ধোকা দিচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সংকট সৃষ্টি করছে।
বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলে মহানগর বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন আরও বলেন, জিয়া অরাফানেজ ট্রাস্টি মামলা দিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে চায়। কিন্তু কেউ প্রমান করতে পারেনি যে ট্রাস্টির মূল একাউন্ট থেকে কোন চেক বা টাকা সরেছে। এটা সরকারের পাতানো মিথ্যে মামলা। খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে এদেশে কোন নির্বাচন হবেনা। ওয়ান ইলেভেনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেমন মামলা হয়েছে, তেমনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাইকো দূনীতিসহ মোট ১৫টি মামলা ছিল। যা পরবর্তীতে খারিজ নয়তো প্রত্যাহার বা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। একইভাবে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাড়ে সাত হাজার দুর্নীতি মামলা খারিজ ও প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
খন্দকার মোশারফ বলেন, বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। আওয়ামীলীগ মনে করছে বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা জেল ও গুম করলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবেনা। তাই তারা লাখ লাখ মামলা দিয়ে রেখেছে, যা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। কিন্তু এতে করে বিএনপির জনসমর্থন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ আর ২০১৮ সাল এক নয় উল্লেখ করেন খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের ন্যায় ২০১৮ সালের নির্বাচন হবেনা। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবেনা। নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মাঠে থাকারও দাবী করেন তিনি। একই সাথে বরিশাল জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে সামনের লড়াই সংগ্রামে প্রস্তুত থাকার আহবান করেন খন্দকার মোশারফ।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মহাবুবুল হক নান্নু, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তর জেলা বিএনপি সভাপতি মেজবাউদ্দন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার প্রমুখ।
একইদিন বিকেলে একইস্থান বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। সেখানেও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়েদুল হক চাঁনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন,বিশেষ বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব এ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার.ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান.এ্যাড.বিলকিস জাহান শিরীন.মাহাবুবুল হক নান্নু,মেজবা উদ্দিন ফরহাদ।