শূকর পালনে লাভবান হয়েছেন লক্ষীখোলার পরিতোষ বিশ্বাস

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago
Exif_JPEG_420

দীপক রায়, দাকোপ(খুলনা) প্রতিনিধি: শূকর পালনে লাভবান হয়েছেন দাকোপ উপজেলার পানখালি ইউনিয়নের পরিতোষ বিশ্বাস।
সরেজমিনে তাঁর ফার্ম ঘুরে জানাযায় দিনবদলের গল্প। সময়টা ছিল ২০০৫ সালের মাঝামাঝি। দরিদ্র পরিতোষ বিশ্বাস কোনো কাজ করে আর্থীক দৈন্যতা ঘুচাতে পারছিলেন না। শুধু লোকসান আর লোকসান। এমন সময় ডুমুরিয়া উপজেলার তাঁর এক আত্মীয় বিকাশ চন্দ্র বাইন তাঁকে শূকর পালনের পরামর্শ দেন।বিকাশ বাইনের কথামত তিনি পরিক্ষামূলকভাবে করার জন্য ৫ টি শূকর ছানা ক্রয় করে একটি ছোট ঘরে পালতে থাকেন। পরিতোষ বাইন তাঁকে শূকর পালনের প্রাথমিক ধারণা দেন। এরপর ক্রমান্বয়ে লাভের মুখ দেখতে থাকেন পরিতোষ। পরে তিনি পাকা করে ৪ টি টিনসেড তৈরি করেন। পয়োনিষ্কাশন করার জন্য আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বার তৈরি করেন যাতে ফার্মের পরিবেশ সবসময় দূর্গন্ধমুক্ত থাকে। ফার্মটি সুরক্ষার জন্য চারিপাশে পাচিল দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন তিনি। মটর দিয়ে সাওয়ারের এবং ফার্ম পরিস্কারের ব্যবস্থা করেছে।
বর্তমানে তাঁর ফার্মে ১৭০ টি শূকর রয়েছে। বয়স অনুপাতে শূকর গুলিকে বিভিন্ন সেডে ভাগ করে রাখা হয়।
বর্তমানে তাদের ভুট্টা খাওয়ানো হচ্ছে দৈনিক ৩ বার। সাওয়ার করানো হয় ৩ বার। অত্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়েছে ফার্মে।
পরিতোষ বিশ্বাস বলেন,শূকরের রোগ ব্যাধি কম তাই মৃত্যুঝুকিও কম। নিয়ম করে ক্রিমির ঔষধ খাওয়াতে হয়। প্রতি কেজি মাংস পাইকারি ২ শত ৮০ টাকা এবং খুচরা ৩ শত টাকা,বাচ্চা প্রতি কেজি ৩ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংস বা বাচ্চা কিনতে হলে অগ্রীম জানাতে হয়।
তিনি বলেন প্রতিদিন ২ শত ৫০ কেজি খাবার লাগে। যার মূল্য ৬ হাজার টাকা। একটি শূকর প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ কেজি মাংস বাড়ে। পরিতোষ জানান একজন কেয়ারটেকারকে মাসে ১০ হাজার টাকা দিতে হয় এবং খাবার খরচ দিয়ে মাসে ২ লক্ষ টাকা ব্যায় হয়। এর থেকে প্রতিমাসে তাঁর আয় হয় ৫০  থেকে ৬০ হাজার টাকা। তাঁর ফার্মটি দেখতে এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান কোনো বেকার যুবক শূকরের ফার্ম করতে চাইলে তিনি তাকে সহায়তা করবেন।
এমনিভাবে তিলে তিলে গড়া ফার্মটি বড় হচ্ছে বদলে যাচ্ছে পরিতোষ বিশ্বাসের ভাগ্যের চাকা।