শুরুটা ভালো হওয়া দরকার : মাশরাফি

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

সব কিছু ঠিকভাবেই চলছিল। প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে সবার আগে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝে একটা ধাক্কা, বড় দুশ্চিন্তা মাথায় চাপিয়ে দিয়েছে। ফাইনালের আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে লজ্জার হারের পর এখন টাইগার সমর্থকদের মনে উৎকন্ঠা, আরও একবার ফাইনালে গিয়ে স্বপ্নভঙ্গ হবে না তো?

আর যেন এমন না হয়, টাইগার সমর্থকদের মতো প্রত্যাশা মাশরাফি বিন মর্তুজারও। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মনে করছেন, ফাইনালে না পারার আক্ষেপ ঘুচাতে হলে এবার শুরুটা অবশ্যই ভালো করতে হবে। তবেই আস্তে আস্তে হাতের মুঠোয় চলে আসবে ম্যাচ।

সর্বশেষ ম্যাচে এই শুরুটাই খারাপ ছিল বাংলাদেশের। ব্যাটিং কিংবা বোলিং; কোনোটিতেই ভালো শুরু করতে পারেনি টাইগাররা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২৪ ওভারেই ৮২ রানে অলআউট, এরপর বোলারদের ব্যর্থতায় ১২ ওভারের মধ্যেই ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া শ্রীলঙ্কার।

মাশরাফির এই ভালো শুরুটা যদি ব্যাটসম্যানদের দিক থেকে হয়, তবে অবশ্যই তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের ব্যাট জ্বলে উঠতে হবে। সেটা সম্ভব হলে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু দেখছেন না তিনি।

বাংলাদেশ অধিনায়ক দলের টপ অর্ডারের প্রতি প্রত্যাশা নিয়ে বলেন, ‘এটা সত্যি কথা, সাকিব আর তামিম শুরুতে আউট হয়ে গেলে একটা চাপ হয়ে যায়। তামিমকে বলে দেওয়া হয়েছে, সে যেন টোটাল খেলা কন্ট্রোল করে। সাকিবও অবশ্যই আমাদের বেস্ট পারফর্মার। এতদিন সে পাঁচে খেলেছে, এখন তিনেও বেশ ভালো ব্যাট করছে। মুশফিকের দিকে তাকান, সেও খারাপ অবস্থায় আছে তা না। মিডল অর্ডার কলাপ্স করেছে দুই দিন। কালকে এরকম হলে বা এর চেয়ে বাজে পরিস্থিতি আসলে তারা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, এই চিন্তা অন্তত আমার মধ্যে নেই।’

আগের ম্যাচের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরেই ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে নামতে চান মাশরাফি। এজন্য শুরুটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি, ‘শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং বা বোলিং যাই করি না কেন, শুরুতে খেলাটা ধরতে পারলে কিছুটা হলেও চাপ ধীরে ধীরে কমে আসে।’

ফাইনালের চাপ এর আগে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও তেমন চাপ থাকছে কি না? মাশরাফির উত্তর, ‘সব কিছু নির্ভর করছে কেমন শুরু করব সেটার উপর। কালকে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) প্রথম ১০ ওভারেই কিন্তু খেলা ওদের দিকে চলে গিয়েছিল, যেখান থেকে আমরা ফিরে আসতে পারিনি। এমন পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়, বুদ্ধি করে যেন খেলতে পারি। এই পরিস্থিতিগুলো সামলানোই কঠিন হবে। যারা স্নায়ু ধরে রাখতে পারবে, তারাই এগিয়ে থাকবে।’

টাইগার সমর্থকদের আশা থাকবে, মাশরাফিরাই যেন এই স্নায়ুর যুদ্ধে জয়ী হন। ট্রফি জিততে না পারার আক্ষেপটা তবেই না ঘুচবে!