 
                                            
                                                                                            
                                        
রাত পোহালেই মুসলমানদের ত্যাগ ও আনন্দের ঈদ পবিত্র ঈদুল আজহা। সকালে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের পর মহান আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলমানরা উদযাপন করবে দিনটি।
প্রতিবছর পবিত্র জিলহজ মাসের ১০ তারিখ মুসলমানদের এই আনন্দের দিনটি উদযাপিত হয়। তবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পবিত্র এই মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যেকোনো দিন পশু কোরবানি দেয়া যায়। সে হিসেবে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার পশু কোরবানি করবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এদিকে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হবে। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানায় পরিবেশন করা হবে বিশেষ খাবার।
সোমবার সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল অর্থাৎ বৃষ্টি বেশি থাকলে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে।
এদিকে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বরাবরের মতো এবারও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বড় শহর থেকে অগণিত মানুষ নাড়ির টানে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত স্থানগুলোতে পশু কোরবানির জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে কোরবানি পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া নিয়েছে উভয় সিটি কর্পোরেশন। দুই সিটি কর্পোরেশনের ১৪ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবে বলে জানিয়েছে তারা।