ঢাকা মেডিকেল কলেজ
রাজধানীতে নার্সসহ চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।তারা হলেন- ধানমন্ডিতে নিপা মৃধা (২৭), বংশালে তানজিয়া সালাম সেতু (২০), বনানীতে অজ্ঞাত পরিচয় (৩০) এক যুবক ও মহাখালীতে অজ্ঞাত (৪৫) এক নারী।
আজ বৃহস্পতিবার তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
মৃত নিপার স্বামী অনিমেস মৃধা জানান, পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ঘরঘাটা গ্রামের বিনয় মোল্লার মেয়ে নিপার সঙ্গে তার ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। বর্তমানে উত্তর ধানমন্ডিরর ৩০ নম্বর ৬ বছরের ছেলে ওয়ন মৃধাকে নিয়ে থাকতেন তারা। নিপা তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের নার্স হিসেবে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে নিপার কাছে কিছু টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। পরে তিনি কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলে নিপা বাথরুমের ভ্যান্টিলেটরের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মৃত সেতুর মামা ফারুক হোসেন জানান, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের মেয়ে সেতু। পরিবারের সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট মাটিকাটা এলাকায় থাকতেন তিনি। গত মঙ্গলবার তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময় সেতুকে বংশাল আগাসাদেক রোডের ৯৩ নাম্বার বাসায় মামা ফারুক হোসেনের কাছে রেখে যান। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই মিতু ওই বাসার ৫ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত সেতু মানসিকভাবে বেশ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে জানান স্বজনরা।
ফারুক আরো জানান, গত রমজান মাসে রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসে মাটির নিচে চাপা পরে মৃত্যু হয় সেতুর বড় ভাই ক্যাপ্টেন তানভীরের।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বনানী ও মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে বনানী রেলস্টশনের উত্তর পাশের রেল লাইন অতিক্রম করার সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। তার পরনে ছিল সাদা শার্ট ও হাফ প্যান্ট।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মহাখালীর আমতলি রেল লাইনে ট্রেনের নিচে কাটা পরে এক নারী মৃত্যু হয়। তার পরনে ছিল প্রিন্টের শাড়ি। মৃতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।