মোঃ শাহাজাদা হিরা:: যে বয়সে হাসবে খেলবে শৈশব কে উপভোগ করবে মা-বাবার নয়নের মণি হয়ে থাকবে। সেই চোখ অঝোরে অশ্রু ঝরছে ভয়ে কুঁকড়ে কুঁকড়ে কাদছে ১০ বছরের তাসমিয়া আক্তার তানিয়া। পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার মাহমুদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সালাম তালুকদার ও মনি বেগমের একমাত্র সন্তান তাসমিয়া। মায়ের অকাল মৃত্যুতে এতিম হয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসমিয়া। কিছু দিন না যেতেই বাবা সালাম তালুকদার দুটি সন্তানসহ দ্বিতীয় মা শিমু বেগমকে ঘরে তুলেছে আর তাতেই নিষ্পাপ শিশু কন্যা তাসমিয়ার জীবনে অন্ধকার নেমে এলো। কথায় কথায় সৎ মা নির্যাতন করতো বাবা তার দিকে খেয়াল দিতো না সৎ ভাই বোন তাকে মারধর করতো। অবশেষে আজ ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে বরিশাল লঞ্চঘাটে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সৎভাই লঞ্চঘাটে ফেলে রেখে চলে যায়।
যাওয়ার সময় ৫০ টাকা হাতে দিয়ে বলে তুই এখানে বস আমি তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসি সেইজে গেলো আর ফিরলো না। এদিকে ফটো সাংবাদিক সুমন হাওলাদার কাজের প্রয়োজনে লঞ্চঘাটে গেলে সেখানে তাসমিয়াকে কাঁদতে দেখে তার কাছে যায় তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তার ভাই তাকে রেখে খাবার আনতে গিয়েছে এখনো ফেরেনি। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে খোঁজাখুঁজি করা হলেও তার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পারভেজ কে জানালে সে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক এস, এম, অজিয়র রহমান কে অবহিত করেন। জেলা প্রশাসক বরিশাল দাপ্তরিক কাজে বরিশালের বাইরে থাকায় সে শিশু তাসমিয়াকে প্রবেশন অফিসার এর নিজ হেফাজতে রাখতে বলেন।
জেলা প্রশাসক দ্রুত বরিশালে ফিরে এসে শিশুর তাসমিয়ার সাথে কথা বলেন তাকে বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তোমার দায়িত্ব নিবেন সেখানে তুমি তোমার পরিবারের চেয়ে সুখে থাকবে আমি তোমার খোঁজখবর নিবো যদি তোমার পরিবারের কেউ তোমাকে নিয়ে যেতে চায় তখন আমরা নিয়ম মেনে আইনানুগভাবে তোমাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেবো। পরে তাসমিয়াকে নিয়ম মেনে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্ণবাসন কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্ণবাসন কেন্দ্র বাসুদেব দেবনাথ এর কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রবেশন অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল সাজ্জাদ পারভেজ, ইত্তেফাক বরিশালের ব্যুরোচীফ শাহিন হাফিজ ও ফটো সাংবাদিক সুমন হাওলাদারসহ আরো অনেকে।