জাতীয় লিগটা তার কেটেছে হতাশায়। ৬ ম্যাচে ছিল কেবল দুটি ফিফটি। সেই হতাশা কাটিয়ে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডেই রকিবুল হাসান করলেন সেঞ্চুরি। তবে তাতেও স্বস্তিতে নেই তার দল মধ্যাঞ্চল।
বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে জয়ের আশা জাগিয়েছে বিসিবি উত্তরাঞ্চল। সিলেটে বৃহস্পতিবার উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান। প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা ১৮৮ রানে।
প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চল ইনিংস ঘোষণা করেছে ৯ উইকেটে ৪৫৭ রানে। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই মধ্যাঞ্চলের প্রয়োজন আরও ৩৫ রান। হাতে উইকেট মোটে ৩টি। ৭ উইকেটে ৪৩৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল উত্তরাঞ্চল। এদিন তারা ব্যাট করেছে মাত্র ৩.৩ ওভার।
১৫২ রানে দিন শুরু করা জহুরুল ইসলাম ফেরেন ১৫৮ রানে। পরে ৩০ রান করে ফরহাদ রেজা আউট হতেই ইনিংস ঘোষণা করে দেয় উত্তরাঞ্চল। মধ্যাঞ্চলের ব্যাটিং প্রথম ইনিংসের মতোই মুখ থুবড়ে পড়ে আবার। ৮৪ রান তুলতেই শেষ ইনিংসের অর্ধেক। তৃতীয় দিনেই তখন চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়।
প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রকিবুল। তাকে সঙ্গ দেন তানবীর হায়দার। ষষ্ঠ উইকেটে ১১৪ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৩৮ রান করা তানবীরকে ফেরান সোহরাওয়ার্দী শুভ। রকিবুল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একাদশ সেঞ্চুরি করেন ১৪৭ বলে। তবে শুভর বাঁহাতি স্পিনে ফিরে যান ১০৫ রান করেই।
অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন ও ৯ নম্বরে নামা মেহরাব হোসেন জুনিয়রের দৃঢ়তায় এরপর আর উইকেট হারায়নি তারা। প্রায় ১৭ ওভারে ১৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেওয়া অলরাউন্ডার আরিফুল হক এবার নিয়েছেন ২ উইকেট। দুটি করে নিয়েছেন শুভ ও শুভাশিস রায়ও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৮৮
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১৯.৩ ওভারে ৪৫৭/৯ (ডি.) (আগের দিন ৪৩৩/৭)( জহুরুল ১৫৮, ফরহাদ রেজা ৩০, শফিউল ০*; তাসকিন ৪/১২২, শরিফ ০/৫৩, মোশাররফ ২/৮৮, শুভাগত ৩/১৩৬, তানবীর ০/৪৮)।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৭৭ ওভারে ২৩৪/৭ (সাদমান ১৬, রনি ১০, শুক্কুর ২৪, রকিবুল ১০৫, মার্শাল ৪, শুভাগত ১২, তানবীর ৩৮, মোশাররফ ১৪*, মেহরাব ৭*; শফিউল ০/৭৮, শুভাশিস ২/৪০, ফরহাদ ১/৩৪, আরিফুল ২/৩৭, শুভ ২/৪৫, নাঈম ০/২)।