 
                                            
                                                                                            
                                        
নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩৭ জনের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম বলেন, এখানে আসা ৩৭ জন রোগীর সবার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এছাড়া প্রত্যেকের সরকারি খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া একজন শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। পরে সময় সংবাদের প্রতিবেদকের কাছে শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন । ৭ বছরের ওই শিশুটির নাম জুয়েল বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই মসজিদে এসি বিস্ফোরেণর ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দে মসজিদের কাছের বৈদ্যুতিক ট্রানসফর্মারে বিস্ফোরণ ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে মসজিদের ভেতরে এসির বিস্ফোরণও ঘটে। মুহূর্তে মসজিদের ভেতরে আগুন ধরে যায়।
আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়লে মুসল্লিরা দগ্ধ হতে থাকেন। দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম মালেক আনসারী (৬৫) ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ফটো সাংবাদিক নাদিম হোসেনসহ (৪২) ৩৭ জন। আহতদের প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করানো হয়।