ভোলায় নির্বাচনী সহিংসতায় উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষ পক্ষের কমপক্ষে ৪০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ইউনিয়নের বিদ্রােহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের বাসার সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ও বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনসহ তাঁর ১০ থেকে ১২ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে।

অন্যদিকে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলামেরও থেকে ১২ থেকে ১৫ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে তিনি তাঁর ইউনিয়নের এক জানাজা থেকে ফিরে তাঁর বাড়ির সামনের সড়কে এসে পৌঁছালে নৌকা মনোনীত প্রার্থীর কয়েকজন সমর্থক তাঁর উপর হামলা চালায়।

অন্যদিকে ঘটনার পাল্টা অভিযোগ করেন নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির। তিনি জানান, ঘটনার সময় তিনি তাঁর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বিছিন্ন একটি গ্রামে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানতে পেরেছেন তাঁর কয়েকজন সমর্থক বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির সামনের সড়কে তাঁর নির্বাচনী পোষ্টার টাঙানাতে যায়। এসময় গিয়াসউদ্দিন ও তাঁর সমর্থকরা পোষ্টার টাঙাতে বাঁধা দেয় এবং তাঁর সমর্থকদের অতর্কিত হামলা চালায় গিয়াসউদ্দিনের সমর্থকরা। এসময় তাঁর ১২ থেকে ১৫ জন সমর্থক গুরুতর আহত হয়।

এ ঘটনার ঘন্টাখানেক আগে একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজারে পোষ্টার টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী ও নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক মো. গিয়াসউদ্দিন ও আব্দুল সালাম হাওলাদার গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকেও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর উভয় ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা করা হয়েছে।

উভয় ঘটনার বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে উভয় ইউনিয়নের অবস্থা মোটামুটি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পরে বিকেল চারটার দিকে সদর সার্কেল এসপি আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।