 
                                            
                                                                                            
                                        
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবায়ের ইবনে তাহের।
সোমরার বিকেল সাড়ে ৩টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে নীল দলের সভাপতি ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিতাই কুমার ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইবনে তাহের দেখা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উপাচার্য শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে না জেনেই নীল দলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষকে হাত ধরে তার কার্যালয় থেকে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলে দরজা লাগিয়ে দেন। এর প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসেন নীল দলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইবনে তাহের। এ দিকে সাংবাদিকরা এ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রক্টর কর্তৃক লাঞ্ছিত হয়।
নীল দলের সভাপতি ড. নিতাই কুমার ঘোষ বলেন, উপাচার্য যোগদানের পর থেকেই নীল দল ধ্বংসের পাঁয়তারা করছেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকানো, শিক্ষা ছুটিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের একাধিক দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেই গেলে তিনি আমার হাত ধরে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেন। পরে ‘আল্লাহ হাফেজ’ বলে দরজা লাগিয়ে দেন।
নীলদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইবনে তাহের বলেন, উপাচার্যের নানা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নীলদল সজাগ বলেই নানাভাবে নিপীড়ন ও হেনস্থার শিকার এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা।
তিনি বলেন, নীলদল থেকে পদত্যাগ করলেই কেবল শিক্ষকদের পদন্নোতি দিচ্ছেন উপাচার্য। তিনি একজন শিক্ষক হয়ে আরেকজন শিক্ষককের সঙ্গে এমন ব্যবহার কল্পনাতীত। তাই শিক্ষকদের প্রাপ্য দাবি নিয়ে অনশনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা দেখা করতে গেলে প্রক্টর আবু কালাম মো. ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিক প্রবেশে বাধা দেন এবং সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে বলেন।