বিশ্ব মানচিত্র থেকে কাতারকে মুছে ফেললো আমিরাত

লেখক:
প্রকাশ: ৮ years ago

সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবু ধাবিতে একটি জাদুঘরের উদ্বোধন করা হয়। জাদুঘর কর্তৃপক্ষের বিতর্কিত এক উদ্যোগের ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতারে। দোহা বলছে, আবু ধাবিতে চালু হওয়া জাদুঘরে বিশ্বের একটি মানচিত্র জায়গা পেয়েছে; কিন্তু এ মানচিত্র থেকে কাতারকে মুছে ফেলা হয়েছে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রবীণ এক পর্যবেক্ষকের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা অানাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের শিমন হ্যান্ডারসন ‘কাতার/আমিরাতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণী প্রতিবেদন লেখেন। এ প্রতিদ্বন্দ্বিতার ভয়াবহতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘জাদুঘরে স্থান পাওয়া বিশাল আকারের বিশ্ব মানচিত্র থেকে কাতারকে পুরোপুরি মুছে ফেলেছে আমিরাত।’

হ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘আবু ধাবিতে চালু হওয়া ল্যুভর মিউজিয়ামের শিশুদের বিভাগে মানচিত্রে আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের দক্ষিণের উপদ্বীপ কাতারকে সম্পূর্ণরূপে বাদ দেয়া হয়েছে। এটি এক ধরনের ভৌগলিক বিলোপ; যা সম্ভবত ফ্রান্সের চুক্তির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, যাতে আবু ধাবি ল্যুভর নাম ব্যবহার করতে পারে।’

ফ্রান্সের বিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামের নামে ল্যুভর আবু ধাবি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠার জন্য গত বছর ফ্রান্সকে ৫২০ মিলিয়ন ডলার দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাঁচ বছর আগে এ জাদুঘরটি আবু ধাবিতে চালু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখে গত নভেম্বরে।

উপসাগরীয় অঞ্চলের তেল সমৃদ্ধ বেরী দুই দেশের মধ্যে যখন কূটনৈতিক চরম উত্তেজনা চলছে; ঠিক তখনই ভৌগলিক বিলোপের বিষয়টি তুলে আনলেন হ্যান্ডারসন। গত সপ্তাহে কাতার আনুষ্ঠানিকভাবে আমিরাতের বিরুদ্ধে আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।

দেশটি বলছে, গত মাসে আবু ধাবির সামরিক বিমান কাতারের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করেছে। এর ফলে আমিরাত কাতারের আকাশসীমার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে বলে দোহা দাবি করলেও আবু ধাবি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

তবে চলতি সপ্তাহে কাতারের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনেছে আমিরাত। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, বাহরাইনগামী আমিরাতের দুটি যাত্রীবাহী বেসামরিক বিমানে বাধা দিয়েছে কাতারের যুদ্ধ বিমান। অস্বীকারের একই পথে হেঁটে কাতারও বলেছে, এ ধরনের কাজের সঙ্গে দেশটির সামরিক বাহিনী জড়িত নয়।

আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের এ উত্তেজনার শুরু হয় গত বছরের ৬ জুন। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও ইরান সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ওইদিন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি নেতৃত্বাধীন চারটি দেশ। তবে কাতার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, সম্পর্ক ছিন্নের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো।

সূত্র : আনাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সি।

প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago