বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে কাজ করতে গত ২ ফেব্রুয়ারিই ঢাকায় চলে এসেছেন জেমি সিডন্স। কিন্তু বিপিএল চলতে থাকায় এখনও সে অর্থে কোনো কাজ নেই এ অস্ট্রেলিয়ান কোচের। তাই ঢাকা-সিলেট ঘুরে ঘুরে বিপিএলের খেলাই দেখছেন তিনি।
সোমবার যেমন চলে এসেছেন সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সরাসরি মাঠে বসেই দেখলেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমদের খেলা। দুই ম্যাচের মাঝে আবার পরিদর্শন করেছেন সিলেটের নতুন আউটার স্টেডিয়াম। যা দেখে নিজের সন্তুষ্টির কথাও জানিয়েছেন সিডন্স।
বিপিএলের খেলা দেখা পাশাপাশি সিডন্সের সিলেট ভ্রমণের আরেকটি উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। মূলতঃ নতুন মাঠের সুযোগ-সুবিধা দেখা, অনুশীলনের ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণও ছিল সিডন্সের সিলেটে আসার কারণ।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে নান্নু বলেছেন, ‘সবমিলিয়ে ম্যাচ দেখার কারণ তো ছিলই। এছাড়া ও আগে কখনও সিলেটে আসেনি। তো সিলেটের স্টেডিয়ামটা দেখা, উইকেটগুলো দেখা…, এখানকার আবহ, অনুশীলনের সুবিধাগুলো কী কী আছে তা দেখার জন্য মূলত আসা।’
এ সময় নান্নু জানান, বিপিএলের পরপরই বাংলাদেশ দলের সঙ্গে নতুন শুরু হবে সিডন্সের। তবে সবকিছুর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে থাকবেন দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোই। নান্নুর ভাষ্য, ‘বিপিএলের পরপরই (সিডন্সের কাজ শুরু)। যখন আমাদের ট্রেনিং সেশন শুরু হবে আর কি…, ডোমিঙ্গোও আসবে। পরিকল্পনাটা তো ডোমিঙ্গোই করবে হেড কোচ হিসেবে। ওর প্লানিংয়ে কাজ শুরু করবেন সিডন্স।’
সিডন্সের কাজ সহজ করার জন্য বিসিবির পক্ষ থেকে একটি গাইডলাইন দিয়েছেন নান্নু। যেখানে বর্তমান খেলোয়াড়দের সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে তাকে। যাতে কাজ শুরু করলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে না হয় বিসিবির এ ব্যাটিং পরামর্শককে।
প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘ওকে আমরা একটা গাইডলাইন দিয়েছি। তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা আলাদা খেলোয়াড় ধরে। এখন কে কে কোথায় খেলে, অনেক খেলোয়াড়কে তো ও চেনে না। সে হিসেবে গাইডলাইন দেওয়া হচ্ছে যে, কে কোন ফরম্যাটে খেলে, কোথায় ব্যাটিং করে। আমাদের বোলাররা কেমন, সবকিছু নিয়ে ওকে একটা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে যাতে যখন অনুশীলনে নামবে খুব সহজে সবার সম্পর্কে জেনে কাজটা করতে সুবিধা হয়।’