তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার নন, আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নেতৃত্ব দিতে পারেন মোল্লা মুহম্মদ হাসান আখুন্দ। তালেবানের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাই সরকার প্রধান হিসেবে হাসান আখুন্দের নাম প্রস্তাব করেছেন।
বুধবারই আখুন্দের নেতৃত্ব কাবুলে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে বলে তালেবানের সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়া তালেবান নেতৃত্বের বড় অংশই সরকারে থাকবেন না বলেও জানা গেছে। যদিও এর আগে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তালেবানের মন্ত্রিসভার ৮০ ভাগই থাকবে দোহা টিমের সদস্য।
এদিকে, তালেবান সরকারের মন্ত্রিসভায় মোল্লা আবদুল গনি বারাদার ও মোল্লা আব্দুস সালাম গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন বলে জানা গেছে।
তালেবান সরকারে হাসান আখুন্দকে ‘রইস-ই-জামহুর’ বা ‘রইস-ই-ওয়াজারা’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধানের পদ দেওয়া হতে পারে।
২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা সুরা’র নেতৃত্বে ছিলেন হাসান আখুন্দ। বারাদারের মতো তাকেও ২০১০ সালে পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি মুক্তি পান। প্রায় দু’দশক ধরে আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত হাসান আখুন্দ তালেবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি সুরা’রও প্রধান ছিলেন।
অন্যদিকে, আব্দুস সালাম দু’দশক আগে পাকিস্তানে প্রথম তালেবান সরকারের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ২০০১ সালে কাবুলে তালেবানের পতনের সময় তিনি পাকিস্তানে ছিলেন। পরে তাকে গ্রেফতার করে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয় পাকিস্তান। এরপর দীর্ঘ সময় তিনি কিউবার গুয়ানতানামো বে কারাগারে বন্দি ছিলেন।