চুরির অপবাদ দিয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের খোকন মোল্লা ও তার ১০ বছরের ছেলে শামীমকে গাছের সঙ্গে শেকল ও গামছা দিয়ে বেঁধে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চন্দ্রপুর সন্তোষপুর ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফের নেতৃত্বে একটি দল সোমবার গভীর রাতে উত্তর চন্দ্রপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করে।
আটকরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর গ্রামের ওহাব আলী বেপারীর ছেলে করম আলী বেপারী (৫০), সাহেব আলী বেপারী (৪৮) ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের হালিম বেপারীর ছেলে সুমন বেপারী (২৮)।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন বলেন, শেকলে দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় খোকন মোল্লার স্ত্রী ফাহিমা বেগম বাদি হয়ে পাচঁজনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মে শবে বরাতের রাতে উত্তর চন্দ্রপুর গ্রামের হালিম বেপারীর বাড়িতে চুরি হয়। ৯ মে সকালে চোর সন্দেহে খোকন মোল্লার ছেলে শামীমকে ধরে নিয়ে হালিম মোল্লার বাড়ির কাঁঠাল গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধরক মারপিট করা হয়। তার কিছুক্ষণ পর ওই বাড়ির সামনে দিয়ে শামীমের বাবা খোকন মোল্লা ভ্যান চালিয়ে আসার সময় তাকেও ধরে নিয়ে শেকলে বেঁধে বেদম মারপিট করেন হালিম বেপারী, রাহিলা বেগম, রহম আলী বেপারী, করম আলি বেপারী ও সাহেব আলী বেপারী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই নির্মম নির্যাতন।
পরে খবর পেয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় সন্তোষপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশু শামীম ও তার বাবা খোকনকে উদ্ধার করে।