বরিশালের বানারীপাড়ায় একটি দোচালা টিনের ঘরকে মন্দিরে রূপ দেয়ার অপচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অনুসন্ধানে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে নির্মিত ওই টিনের ঘরটিকে মন্দিরে রূপ দেয়ার অপচেষ্টার কৌশল হিসেবে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। আর এ কাজে স্থানীয় একটি মহল জড়িত রয়েছে বলে জানাগেছে।
বানারীপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পূর্ব পার্শ্বের ২৬০ নং খতিয়ানের ৫২৫বাটা ৯২৩ নং দাগে উপস্থিত একটি টিনের ঘরে মন্দিরের নাম করণে বিদ্যুত সংযোগ নেওয়ার আবেদন করেণ অশোক দাশ নামের এক ব্যক্তি।
তবে মন্দিরের নামে কোন জমি না থাকায় বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২, ২০১৭ সালের ১আগস্ট ৩৭৩ নং পত্রের মাধ্যমে অশোক দাশের বিদ্যুত সংযোগের আবেদন নাকোচ করে দেন। পরবর্তীতে অনুপ বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি পুনরায় মন্দিরের নামে বিদ্যুত সংযোগের আবেদন করলে বানারীপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস ২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর ১২৬৩ নং পত্রের মাধ্যমে বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ কে জানিয়ে দেন ওই মন্দিরের নামে কোন জমি নেই।
পরে অনুপ বিশ্বাসের বিদ্যুত সংযোগের আবেদন বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত
সমিতি-২ ওই বছরের ১২ডিসেম্বর ১৬৪ নং পত্রের মাধ্যমে পুনরায় নাকোচ করে দেন। এদিকে একাদিক অভিযোগ রয়েছে পূর্বের সকল কাগজপত্র ও তথ্য গোপন রেখে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২’র এজিএম মো. মতিউর রহমান বিদ্যুত সংযোগ প্রদানের নীতিমালার পরিপন্থি ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তিতে নির্মিত ওই টিনের ঘরে মন্দিরের নামে বিদ্যুত সংযোগ প্রদান করেন। ওই বিদ্যুত সংযোগ হিসাব নং-৮২৪-২২৬২।
ওই বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্নর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে এজিএম বরাবরে আবেদন করা হলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গরিমশি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২’র এজিএম মোঃ মতিউর রহমান বানারীপাড়া প্রেস ক্লাবকে জানান, কাগজপত্র দেখেই সেখানে বিদ্যুত সংযোগ দেওয়া হয়েছে।