‘বাচ্চা মেয়ে’ লকেটকে ‘আদর’ করতে চান কেষ্ট

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বিতর্ককে তিনি সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন। যেখানেই তিনি মুখ খোলেন, সেখানেই তার মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয়। সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি মঙ্গলবারও।

ভারতের সিউড়িতে দলের এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই বক্তব্য দিতে গিয়ে বিজেপির নারী মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন।

রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্ট নামে পরিচিত তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ‘আদর’ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে ছোট বোনের মতো তিনি বিজেপির নারী মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীকে ‘আদর’ করতে চান।

প্রসঙ্গত, রবিবার দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে বীরভূম গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ সেখানে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সম্প্রতি বীরভূমে ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় অনুব্রত তথা শাসক দলের নীরবতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন লকেট। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি অনুব্রতর কানে তালা দিয়ে চাবি পুকুরে ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আর এই কাজ নারীরাই করবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন।

মঙ্গলবার অনুব্রত মণ্ডল সেই প্রসঙ্গেই তোপ দেগেছেন। অনুব্রত জানান, একটা নারী, তিনি নাকি বলেছেন, অনুব্রতকে নারী দিয়ে মারা হবে। নাম না করলেও বিজেপির নারী মোর্চার সভানেত্রীকে উদ্দেশ্য করেই এরপর কেষ্ট মণ্ডল বলেন, ‘বাচ্চা মেয়ে। বুদ্ধিশুদ্ধি নেই। ছোট বোনের মতো আদর করে দেব। আর কিছু বলব না।’ তবে তিনি যে বিজেপি বা লকেটকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ, তা-ও নিজের বক্তব্যে জানাতে ভোলেননি বীরভূমের দাপুটে নেতা।

অনুব্রত বলেন, বোকা মেয়ে হলে তারা অনেক কিছু ভুলভাল বলে ফেলে। দোষ নেই। অল্প বয়স। বয়স হয়নি, কথা জানে না।

অন্যদিকে, লকেটও অনুব্রতর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। আর এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতেও তার রুচিতে বাধে বলে এদিন জানিয়েছেন বিজেপির নারী মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের কথা আবার বললে জবাব বাংলার মানুষই দিয়ে দেবে।

জাতীয়নির্বাচন বার্তাপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago