তিনটি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য এ বছর রফিক কায়সার, শাহরিয়ার কবির ও জুলফিকার মতিনের নাম ঘোষণা করেছে বাংলা একাডেমি।
রফিক কায়সার পাচ্ছেন ‘সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার’। ‘কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ এর জন্য শাহরিয়ার কবিরকে মনোনীত করা হয়েছে। জুলফিকার মতিন পাচ্ছেন ‘সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার’।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির জনসংযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যানার্জী।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৩তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ তিনটি পুরস্কার দেওয়া হবে।
সত্তরের দশক থেকে সাহিত্য অঙ্গনে যাত্রা শুরু রফিক কায়সারের। সাহিত্যিক , প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক রফিক কায়সারের লেখায় উঠে এসেছে ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতি, সাহিত্য ও সমাজচিন্তার বিশ্লেষণ। বাংলাদেশ ও বাঙালি মুসলমানের ইতিহাস তিনি লেখার মধ্য দিয়ে চিত্রায়িত করেছেন। তার লেখা উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে—‘তিন পুরুষের রাজনীতি’ ও ‘কমল পুরাণ’ এবং প্রবন্ধগ্রন্থ ‘আপনি তুমি রইলে দূরে’, ‘তোমার আকাশ তোমার বাতাস’, ‘রবীন্দ্রনাথ: প্রতীচ্যের দেশে-দেশে’ ইত্যাদি।
ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশের সাহিত্যে বিচরণ করছেন কবি জুলফিকার মতিন। একই সঙ্গে কথাসাহিত্য ও মননশীল প্রবন্ধসাহিত্যেও তার বিচরণ রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা জুলফিকার মতিনের লেখায় উঠে এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, চিত্রিত হয়েছে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের নানা প্রেক্ষাপট।
একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সত্তরের দশক থেকে শিশুদের জন্য লিখছেন গল্প, উপন্যাস। তার লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘সীমান্তে সংঘাত’, ‘হানাবাড়ির রহস্য’, ‘নিশির ডাক’, ‘বার্চবনে ঝড়’, ‘কার্পেথিয়ানের কালো গোলাপ’,‘ লুসাই পাহাড়ের শয়তান’, ‘সাধু গ্রেগরির দিনগুলি’, ‘মরু শয়তান’, ‘একাত্তরের পথের ধারে’, ‘জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি’।