বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের অনুমোদন

লেখক:
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশে ৬৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনুমোদন দিয়েছে ভারত। দেশটির ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এ পেঁয়াজ রপ্তানি হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

 

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি দেশের জন্য পৃথক বরাদ্দ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এনসিইএলের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ আরব আমিরাতে যাবে। বাকি ৫০ হাজার টন যাবে বাংলাদেশ।

২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ভারত ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ৮ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে এবং এর পাইকারি দাম স্থিতিশীল রাখতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে কেন্দ্র বন্ধু দেশগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণে রপ্তানিতে অনুমোদন দেয়। সরকারের অনুরোধ এবং অনুমতির ভিত্তিতে এ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

ভোক্তাদের স্বস্তি দেওয়ার প্রয়াসে দেশটির সরকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ২৫ রুপি ভর্তুকি হারে মজুত থেকে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়। দাম আরও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এর আগে ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে টনপ্রতি ৮০০ ডলার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য (এমইপি) আরোপ করে। উপরন্তু, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছিল।

চলতি অর্থবছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯ দশমিক ৭৫ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে রপ্তানি হয়। দামের দিক থেকে শীর্ষ তিনটি আমদানিকারক দেশ হলো বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

 

প্রসঙ্গত, ৮ ডিসেম্বর ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিলে পরের দিন বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজ খুচরায় প্রায় দ্বিগুণ দামে ২২০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।

এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তাদের এলসি খোলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই ভারতীয় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।