 
                                            
                                                                                            
                                        
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে অসামান্য অবদান রাখা বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক লুসি হেলেন ফ্রান্সিস হল্টের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন।
তিনি মঙ্গলবার নগরীর বগুরা রোডস্থ অক্সফোর্ড মিশন সেন্ট অ্যানস হসপিটালে লুসি হল্টকে দেখতে যান ও তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর ও জেলার সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস।
লুসি হল্ট গত বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার সিটি স্ক্যান করে মিনি ব্রেইন স্ট্রোকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুল ইসলাম।
পরে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে লুসি হল্টকে অক্সফোর্ড মিশনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
৬০ বছর আগে অক্সফোর্ড মিশনের একজন কর্মী হিসাবে ব্রিটিশ নাগরিক লুসি বাংলাদেশে এসেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরে অবস্থানকালে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে যুদ্ধাহতদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন তিনি। স্বাধীনতার পরও বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি লুসি। বরং অক্সফোর্ড মিশনে চাকরি নেন।
১৯৩০ সালে ১৬ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সেন্ট হ্যালেন্সে জন্মগ্রহন করা লুসি ১৯৬০ সালে বাংলাদেশে আসেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি লুসি হল্ট বাংলাদেশের নাগরিত্ব পান। ওইদিন বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লুসি হেলেনের হাতে ১৫ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসাসহ পাসপোর্ট তুলে দেন।
পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লুসিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনেই লুসি হল্ট ৯২ বছর বয়সে পদার্পন করবেন।