বাংলাদেশকে প্রশংসায় ভাসালেন রোহিত

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে শেষ বলে ছয় হাঁকিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেছেন দিনেশ কার্তিক। সেজন্য কার্তিককে কৃতিত্ব দিলেও বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতেও ভোলেননি রোহিত শর্মা।

ফাইনালে ভারতকে অনেকটাই কোণঠাসা করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই ম্যাচ বের করে নিয়েছেন দিনেশ। তার ৮ বলে ২৯ রানের অসাধারণ ইনিংসে ভর করেই বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।

রোববার ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে ভারতের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘বাংলাদেশ দল যে ধারবাহিকভাবে উন্নতি করছে ফাইনালেই তার প্রমাণ রেখেছে।  আমাদেরকে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল (বাংলাদেশ)। যদি দিনেশ ওই সময়ে জ্বলে না উঠতেন…!’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) হতাশ হওয়া উচিত নয়। তাদের সামনে অনেক পথ। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তারা দারুণ ক্রিকেট খেলেছে। শ্রীলংকাকে দুই ম্যাচে হারিয়েছে। আমাদেরও দেখিয়েছে তারা কী পারে! আপনারা জানেন, তাদের দারুণ ক’জন ক্রিকেটার আছে এবং তারা নিজেদের দিনে কী করতে পারেন! তারা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে—এটাই তাদের অনেক দূর নিয়ে যাবে। মাঝে মাঝে পিছিয়ে পড়লেও এভাবেই ক্রিকেট খেলতে হয়।’

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয় বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন রোহিত শর্মা।

তিনি বলেন, ‘গত তিন বছরে আমরা দেখেছি কীভাবে নিজেদের খেলার ধরন বদলে ফেলেছে ওরা (বাংলাদেশ)। সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাশাপাশি দলে ক’জন নতুন মুখও আছে। অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয় থাকা সবসময়ই দারুণ। প্রত্যাশিত ফল পাওয়া সহজ হয়। দলের অভিজ্ঞরা তরুণদের পরিচর্যা করছেন।’

ক্যাম্পাসজাতীয়প্রচ্ছদপ্রশাসন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago