বরিশাল বিএমপি কমিশনার মোশারফ হোসেন মনে রেখেছেন মানবদরদী লুসি হল্টের জন্মদিন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মানবদরদী সেই লুসি হল্টের জন্মদিনকে ঠিকই মনে রেখেছেন বরিশালের পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ছিলো লুসি হল্টের ৮৮ তম জন্মদিন। যিনি কিনা প্রায় ষাট বছর ধরে মানবসেবা করে যাচ্ছেন এদেশে।

নিরবে ভূমিকা রেখেছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। ৭১’র যুদ্ধের সময় বর্হিবিশ্বে চিঠি লিখে জনমত গড়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য। লুসির প্রত্যাশা ছিলো বাংলাদেশের নাগরিত্ব আর মৃত্যুর পর যেন তাকে কবরস্থ করা হয় বাংলার মাটি-বরিশালেই।

এ নিয়ে প্রথম খবর প্রকাশ করেন ডিবিসি নিউজের সাংবাদিক অপূর্ব অপু। টানা দু-বছরের ধারাবাহিক প্রতিবেদনে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এগিয়ে আসেন অন্য গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠে লুসি হল্টকে নিয়ে।

অক্সফোর্ড মিশনের ব্রাদার জন হালদার জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসলে পূরণ হয় লুসির বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রাপ্তি। কাকতালিয়ভাবে সেই লুসি হল্টের জন্মদিনও বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিন, অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর। দিনটিকে মনে রেখে বরিশালের পুলিশ কমিশনার মোশরাফ হোসেন ফুল আর কেক নিয়ে ছুটে যান অক্সফোর্ড মিশনে। নিজ হাতে কেক খাইয়ে দেন লুসি হল্টকে, জানান ফুলেল শুভেচ্ছা। খোঁজ নেন শারীরিক অবস্থার। এতে দারুন খুশি হন লুসি হল্ট।

পুলিশ কমিশনারকে ধন্যবাদ জানিয়ে লুসি বলেন, অহিংসা আর মানব সেবাই পারে সমাজের শান্তি আনতে। তাঁর জন্মদিনকে কেউ মনে রেখেছেন, এটি তাঁর জন্য বেশ আনন্দের-বলেন লুসি। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিবি ডিসি মোয়াজ্জেম হোসেন ভুইয়া, সহকারি কমিশনার রাসেল আহম্মেদ এবং স্টাফ অফিসার জাহিদ হাসান, মিশনের ব্রাদার জন হালদার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বরিশাল মেট্রোপুলিটন পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লুসি হল্টকেও সংবর্ধিত করেন তৎকালিন পুলিশের কমিশনার এস এম রুহুল আমিন। লুসির জন্য যেটি ছিলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রথম কোন সংবর্ধনা বা স্বীকৃতি।