জেলা প্রশাসক বরিশালের পক্ষ থেকে শহীদ এডিসি আজিজুল ইসলামের ছেলের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য অার্থিক অনুদান প্রদান। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরেও সরকারি ভাবে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে ১৬ ইং ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যথাযথ মর্যাদায় তাকে স্মরণ করা হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী আজিজুল ইসলাম সড়ক সংলগ্ন বধ্যভূমি অভিমুখে পদযাত্রা।সেখান থেকে এডিসি আজিজুল ইসলাম এর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন সেখানে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
আজ ২৭ মার্চ বিকেল ৫ টায় জেলা প্রশাসক বরিশালের অফিস কক্ষে।জেলা প্রশাসক বরিশাল, এস, এম, অজিয়র রহমান এর পক্ষ থেকে তার বড় ছেলে কাজী আতিকুল ইসলামের দুই ছেলে কাজী আনিসুল ইসলাম এবং কাজী আমিনুল ইসলাম তাদের উন্নত শিক্ষা গ্রহণের জন্য কম্পিউটার কেনার জন্য জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ৩০০০০ (ত্রিশ) হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইকবাল আখতার, নেজারত ডেপুটি কালেক্টরেট বরিশাল, আহসান মাহামুদ রাসেল, উপ-পরিচালক সমাজসেবা অধিদফতর বরিশাল, আল মামুন তালুকদারসহ আরো অনেকে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে মৃত্যুবরন করেন শহীদ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আজিজুল ইসলাম তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন।
জানাগেছে, স্বাধীনতা যুদ্ধের উত্তাল মুহুর্তে তৎকালীন বরিশাল জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার চিওড়া গ্রামের কাজী আজিজুল ইসলাম। ওইসময় তিনি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজের দাপ্তরিক গাড়িটি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করতে দিয়ে নিজে চলতেন বাইসাইকেলে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সবধরনের সহযোগীতা করায় ওই বছরের ৫মে পাক সেনারা তাকে ধরে এনে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন বধ্যভূমিতে (শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের ত্রিশ গোডাউনের অভ্যন্তরে) নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান ও দুইজন মেয় সন্তান রেখে যান। কাজী আতিকুল ইসলাম (৬৪), মিসেস রওশন জাহান বেগম (৫৯), মিসেস ফাহমিদা খানম (৪৮)।