বরিশাল নগরীর দক্ষিন আলেকান্দা লাচিন ভবন কর অফিস প্রাঙ্গনে কর সপ্তাহ মেলায় মহিলা-পুরুষ করদাতা রিটার্ণ দাখিলকারীদের উপছে পরা ভীড় পরেছে।রিটাণর্ দাখিল কারীরা আনন্দ-উৎসাহীত হয়ে তাদের নিজ নিজ ভাবে রিটার্ণ দাখিল করছেন।
পাঁচ দিনে গত বছরের তুলনায় দশ হাজারের বেশী রিটার্ণ দাখিল করেছে করদাতারা। কর ভবনে জনবল সংকট থাকা সত্বেও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে কর কর্মকর্তা-কর্মচারী সদস্যরা।
এবিষয়ে বরিশাল কর অঞ্চল প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন,কর ব্যাবস্থাপনা উন্নত না হলে একটি দেশ উন্নত হতে পারে না।গনতান্ত্রিক দেশে স্বচ্ছভাবে কর আরোপের মাধ্যমে সম্পদ বাড়িয়ে সরকার তা আবার দেশের জনগনের উন্নয়নের কাজে ব্যায় করা হয়।
তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নে আমাদের দায়ীত্ব আছে, যা আইন দ্বারা স্বীকৃত। একজন করদাতা অন্যজনের কাছে করদাতা পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।তিনি আরো বলেন, দেশ উন্নয়নের সাথে কর ব্যাবস্থাপনার সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জরিত।
অপরদিকে সহকারী কর-কমিশনার(প্রশাসন) মেহেদী মাসুদ ফয়সাল বলেন, আমদের কিছুটা জনবল সংকট রয়েছে যার কারনে আমরা সব খানে যেতে পারছিনা যেতে পারলে আমাদের করদাতা ও রাজস্ব আরো বৃদ্বি হত।
তারপরও জন সাধারন পূর্বের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে যা কর প্রাঙ্গনে করদাতা রিটার্ণ দাখিলকারীদের উপস্তিতি প্রমান।
তিনি আরো বলেন এ পর্যন্ত গত পাঁচদিনে চৌত্রিশ হাজার করদাতা রিটার্ণ দাখিল করেছে যা গতবারের তুলনায় দশ হাজার বেশী রয়েছে।
আমরা আশা করছি আয়কর সপ্তাহের শেষ দিন পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজারের কাছাকাছি গিয়ে দাড়াতে পারে।
সপ্তাহব্যাপী আয়কর সপ্তাহের আয়োজনে রয়েছে কর মেলা যাতে করদাতারা তাদের রিটার্ণ জমা দিতে পারেন।
এছাড়া এখানে রয়েছে জনতা ও সোনালী ব্যাংক সহ করদাতা রিটার্ণ দাখিল কারীদের সহযোগীতা করার জন্য আরো বেশ কয়েকটি স্টল। আয়কর সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত করদাতা রিটার্ণ দাখিলকারীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে কর কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার ২৪ই নভেম্বর এই সপ্তাহব্যাপী আয়কর সপ্তাহ উদ্বোধন করা হয়েছে। এই কর সপ্তাহের আয়োজন বরিশাল সহ বিভাগের ৬ জেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।