দীর্ঘ ১৪ বছর পর পাওয়া বুঝে পাচ্ছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত ৩৯ জন কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবার। এর মধ্যে ৮ জন রয়েছে মৃত। তাদের পক্ষে পরিবারের স্বজনরা এই বকেয়া টাকার চেক গ্রহন করেন। ৩৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মোট ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
শনিবার সন্ধায় কালীবাড়ি রোডস্থ সিটি মেয়রের বাসভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চেক প্রদান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো: হোসেন চৌধুরী, বিসিসির সচিব ইসরাইল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী খান মো: নুরুল ইসলামসহ বিসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সেখানে অবস্থিত নগর ভবনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বজনরা বলেছেন, ‘বরিশাল সিটি মেয়র আগে ছিলেন যুবরতœ। শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষানুরাগী সাদিক ভাই। অসহায়ের সহায় ভাই। অত্যাচার শোষীতদের কাছে অন্তর আত্মার নেতা। আজ আরো একটি নামে পরিচিত হতে যাচ্ছেন তিনি।
অসহায় অবসর প্রাপ্তদের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। একটু বিস্ময়কর বা দূবোর্ধ হলেও সত্যি বিগত দিনে তিনি যত নামে অলংকিত হয়েছেন হয়ত এটাই হবে তার শ্রেষ্ঠ ও সন্মানের নাম বা উপাদী। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অবসর ভোগীদের সকল ভাতা এককালীন পরিশোধ করে এ অনবদ্য খ্যাতি অর্জন করেছেন। একই সাথে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ইতিহাসেও যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়। কারন অবসরে যাবার পর বিসিসির কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী ইতপূর্বে একসাথে প্রাপ্য ভাতাদী পাননি। তাই পেনশন ভাতা প্রাপ্তির দূবির্ষহ সব স্মৃতি ভুলে উচ্ছাস আর প্রশান্তির হাসি ফুটছে বিসিসির ৩৯ জন অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর চোখে মুখে।
২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অবসরে যাওয়া ৩৯ জন অবসর ভোগীর হাতে প্রাপ্য ভাতাদী বাবদ ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা তুলে দিলেন মেয়র সাদিক। নগর ভবন সুত্রে জানা গেছে, বিসিসির কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী অবসরে গেলে নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে ১৮ মাসের বেতন এবং গ্রাচুইটি বাবদ ৯০ মাসের এককালীন মূল বেতন পাবার কথা। কিন্তু বাস্তবতা সে নিয়ম মেনে চলেনি।
এককালনি তো দূরের কথা অনেকটা কিস্তি মাফিক সামান্য অর্থ ধরিয়ে বিদায় করা হত অবসর ভোগীদের। নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে বিগত দিনের মেয়রদের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারনে অনেক অবসর ভোগীকে সারা জীবনের কষ্টার্জিত টাকা ভোগ না করেই যেতে হয়েছে পরপারে। মেয়রের এ উদ্যোগকে এ যাবত কালের গৃহীত পদক্ষেপের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও মানবিক পদক্ষেপ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিসিসির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নগরবাসী।