বরিশালে বিসিএস পরীক্ষার্থী এক সন্তানের জননী সাদিয়া সাথীর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নিয়েছে পুলিশ। তার স্বামী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কনস্টেবল মাইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে রোববার বিকেলে মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা করেন নিহতের বাবা সিরাজুল হক মৃধা।
এতে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মাইনুলকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম।
সোমবার জেলা ডিবির ওসি আবদুর রাজ্জাক জানান, মামলা হওয়ার পর মাইনুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের পর দোষী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওসি আজিমুল।
এর আগে রোববার সকালে বাবুগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহতের বাবা সিরাজুল। তিনি অভিযোগ করেন, সাদিয়ার মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে বরিশাল মহানগর পুলিশ সহযোগিতা করছে না। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার চাই, মাইনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এদিকে সাদিয়ার হত্যাকারীর শাস্তি দাবিতে সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে সোমবার দুপুরে বরিশাল নগরের সদর রোডে মানববন্ধন হয়েছে। এতে বক্তব্য দেন নিহতের ভাই মেহেদী হাসান রতন, বিএম কলেজের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমান রাকিব, বরিশাল জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী প্রমুখ।
গত ৭ মার্চ বরিশাল নগরীর বৈদ্যপাড়ার বাসা থেকে সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ডিবির কনস্টেবল মাইনুলকে বছর দেড়েক আগে প্রেম থেকে বিয়ে করেছিলেন।