বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখার চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। একটি সড়ক পুনর্নির্মাণে অযৌক্তিক প্রাক্কলন তৈরি এবং নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে এ নির্দেশ দেন তিনি।
গত শনিবার রাতে এক ফেসবুক লাইভে এই নির্দেশ দেন বিসিসি মেয়র। চাকরি হারাতে যাওয়া চার জন হলেন- উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) বাকীউল্লাহ, এস্টিমেটর (চুক্তিভিত্তিক) মো. শাওন আকন এবং কার্য সহকারী (অস্থায়ী) শাহজাহাল।
সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধান গবেষণা রোডের ৩.২৫ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ শুরু হয়েছে সম্প্রতি।
গত শনিবার বিকেলে আকস্মিক ওই সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র। এ সময় নিম্নমানের ইটের ব্যবহার দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকলেও পুরো ৩.২৫ কিলোমিটারে বড় বড় খানাখন্দ দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় প্রকৌশলীরা বাড়তি প্রাক্কলন তৈরি করেছে বলে সন্দেহ করেন মেয়র। ওই কাজে সম্পৃক্ত চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে রাতে নিজ বাসায় ডেকে তিরস্কার করেন তিনি।
গত শনিবার রাতে সিটি মেয়রকে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করতে দেখা যায়। সেই লাইভে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর ধান গবেষণা সড়কের ৩.২৫ কিলোমিটার পুনর্নির্মাণ কাজে অযৌক্তিক প্রাক্কলন তৈরি এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হওয়ায় ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের উপর ক্ষোভ ঝাড়েন সাদিক আবদুল্লাহ।
অস্বাভাবিক প্রাক্কলন তৈরি এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় তাদের একহাত নেন মেয়র। এ সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে বিসিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন তিনি।
বিসিসি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রকৌশল শাখার চুক্তিভিত্তিক একজন সহকারী প্রকৌশলী, একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (স্থায়ী), চুক্তি ভিত্তিক একজন এস্টিমেটর এবং অস্থায়ী একজন কার্য সহকারীকে চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। তাদের প্রত্যেককে চাকরিচ্যুত করার চিঠি দেুয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।