বরিশালে লঞ্চের টিকিট বিক্রির আগেই চলে যাচ্ছে দালালদের হাতে!

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঈদে বাড়ি ফেরার আমেজ ছিল না। এবারের ঈদুল ফিতরে তাই স্বজনদের কাছে যেতে আগ্রহ বেশি। দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এরই মধ্যে বাড়ি ফেরার আগাম তোড়জোড় শুরু হয়েছে। প্রতি বছর দুই ঈদ সামনে রেখে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে অত্যাধুনিক ও বিশালাকারের নতুন লঞ্চ যুক্ত হয়েছে।

লঞ্চের সঙ্গে বেড়েছে কেবিনের সংখ্যাও। তবুও সাধারণ যাত্রীদের কাছে এসব কেবিনের টিকিট পরিণত হয়েছে সোনার হরিণে। ফলে না চাইলেও কালোবাজারিদের ওপর টিকিটের জন্য নির্ভর করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে না চাইতেও উচ্চমূল্যে এইসব টিকিট তাদের কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা বরিশাল নৌ রুটে মোট ২২ লঞ্চ চলাচল করে।এসব লঞ্চে সিঙ্গেল, ডাবল, ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমিভিআইপি, শৌখিন ও ফ্যামিলি ক্যাটাগরিতে দুই হাজারের বেশি কেবিন রয়েছে।

রমজান শুরুর পর থেকেই সাধারণ যাত্রী ও তাদের স্বজনরা এসব কেবিন পেতে লঞ্চের অফিসগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

ওই সময় তাদের কাছ থেকে স্স্নিপ জমা রাখা হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে তাদের নামে কোনো কেবিন থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ কারণে, বাড়ি ফেরার নানা ঝক্কির সঙ্গে যোগ হয় টিকিট পাওয়ার জন্য লবিংয়ের ঝক্কি। আর যাত্রীদের ভরসা হয়ে ওঠে কালোবাজারের দালাল চক্র। টিকিট বিক্রির এই পদ্ধতি পুঁজি করে সক্রিয় কিছু চিহ্নিত দালালরা।

আর এদের সাথে লঞ্চ কাউন্টারের কিছু অসাধু স্টাফের সখ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এইসব দালালের টিকিট পাইয়ে দিতে তারাই সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

যাত্রীদের অভিযোগ কাউন্টারগুলোতে টিকিট না পাওয়া গেলেও বরিশাল নদীবন্দরে অতিরিক্ত ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই দালালদের কাছে পাওয়া যায় কেবিনের টিকিট।

অভিযোগের বিষয়ে সুরভী লঞ্চের কাউন্টার ইনচার্জ ফারহান ফেরদৌস জানান, ‍আমরা ‍আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা করছি। স্লিপের মাধ্যমে ‍ঈদের অগ্রিম টিকিটি ‍আগে থেকেই বুকিং দিতে পারছে যাত্রীরা।

এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির ম্যানেজার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে কেবিনের টিকিট ছাড়া হয়। পরে এসে টিকিট না পেয়ে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়ে নানা অভিযোগ করেন।

এমভি সুন্দরবন লঞ্চের বুকিং অফিস ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, টিকিটের জন্য তাঁরা স্লিপ নেওয়া শুরু করেছেন। স্লিপ অনুযায়ী যাত্রীদের টিকিট দেওয়ার চেষ্টা করবেন। ইতিমধ্যে স্লিপও জমা পড়েছে অনেক।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‍ঈদকে কেন্দ্র করে বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনাল মেরামত সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু হয়েছে।

যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তি কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ মাঠে কাজ করবে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম। নদী পথে কোন প্রকার অনিয়ম হবে না। সাধারণ যাত্রীরা সহজে কেবিন পাবেন।