বরিশালে রিক্সা আটক করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনিষার সাথে ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে বাক বিতন্ডা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago
????????????????????????????????????

শামীম আহমেদ ॥ বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিয়ে সপ্তাহব্যাপি সরকার ঘোষিত লকডাউনের সপ্তম দিনে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে (বিএমপি) ট্রাফিক পুলিশ দায়ীত্ব পালনকালে দিন-মজুর শ্রমিকদের পায়ে চালিত রিক্সা বন্ধ করতে রিক্সা থেকে গদি খুলে নেয়ার কারনে শ্রমিক নেত্রী ও ট্রাফিক সার্জেন্টের সাথে বাক বিতন্ডা ও রিক্সা শ্রমিক সদস্যরা বিক্ষোভ প্রদর্শণ করার ঘটনা ঘটেছে।

 

আজ মঙ্গলবার (২০ই) এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নগরীর কাকলীর মোড় এলাকায় দায়ীত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট সঞ্জিব সহ বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি রিক্সা আটক করেন।

 

এক পর্যায়ে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা রিক্সা থেকে গদি খুলে নিয়ে ট্রাফিক বক্সে রেখে দেয়। এঘটনায় দিন-মজুর রিক্সা শ্রমিকরা উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

 

এঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বরিশাল নগরীর শ্রমিকের বন্ধু বাসদ বরিশাল জেলা কমিটির সদস্য ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী এসময় কেন রিক্সা আটক ও গদি খুলে নেয়ার কারন সার্জেন্ট সঞ্জিবের কাছে যানতে চান তিনি।

 

এসময় ট্রাফিক সার্জেন্ট সঞ্জিবের সাথে মনিষা চক্রবর্তীর সাথে কিছুটা কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। সঞ্জিব বলেন তারা উর্ধ্বতোন কর্মকতাদের নির্দেশে এবং নগরীতে লকডাউনে মধ্যে অতিরিক্ত রিক্সা চলাচল বেড়ে যাওয়া ও তাদের নিয়ন্ত্রন করতে এই অভিযান চালানো।

 

এসময় মনিষা চক্রবর্তী বলেন আমরাও চাই লকডাউন গুরুত্ব সহকারে পালন করা হোক। সেখানে গরিব দিন-মজুর শ্রমিকদের পেটে লাথি দিয়ে নয়।

 

তারা সাধারন দিন মুজুরের রিক্সা আটক করে লকডাউন বাস্তবায়ন করছেন। অন্যদিকে দামী দামী প্রাইভেট কার, মোটর সাইকেল নিয়ে অহরহ ঘোড়া ফেরা করছেন তাদের ধরছেন না এমনকি তাদের গাড়ি আটকাতে দেখা যায়না।

 

এসময় উত্তেজিত রিক্সা শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শণ শুরু করেন। পরবর্তীতে আটক রিক্সার গদিগুলো দিয়ে দেয়া হলে রিক্সা শ্রমিকদের উত্তোজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

 

এসময় বেশ কিছু রিক্সা চালক উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কান্না কন্ঠে বলেন আজ তিনদিন যাবত ভাত কি জিনিস তারা সহ তাদের পরিবার দেখে না।

 

তাই আজ ঘড়ের মানুষগুলোর কান্না সয্য করতে না পেরে জীবনের ঝুকি নিয়ে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি।