 
                                            
                                                                                            
                                        
অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার এয়ারপোর্ট থানাধীন কাশিপুরে মেডিকেল অফিসার মারুফা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে মারুফার হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি এমআর মুকুল। তিনি জানান, পেশাদার চোরের হাতে খুন হন মারুফা। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।
ঘাতক চোরের শাবলের আঘাতেই মারুফার মৃত্যু হয় বলে তথ্য দেন ওসি এমআর মুকুল।
ঘাতক চোর মহসিনের বর্ণনার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মহসিন একজন পেশাদার চোর। সে ভোলায় ঘরজামাই থাকে। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঘাতক মহসিন ভোলা থেকে বরিশাল এসে রুপাতলীর একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন। রাত আনুমানিক ১ টার পরে পাশের নির্মানাধীন ভবন থেকে মারুফার ফ্লাটের পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংয়ের ছাদে শাবল নিয়ে অবস্থান নেয় মহসিন। সেই ছাদ থেকে চুরি করার উদ্দেশে মারুফার ফ্লাটের বেলকোনিতে প্রবেশ করে। বেলকোনির দরজা খোলা থাকায় সে ফ্লাটে ঢুকে মারুফার বিছানার পাশে শাবল রেখে চেয়ারের ওপরে থাকা ভেনিটিব্যাগ নিয়ে বেলকোনি দিয়ে পাশের বাসার ছাদে চলে যায়। ভেনিটিব্যাগ তল্লাশি করে ৩০/৪০ টাকা পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে পুনরায় চোর মহসিন মারুফার ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের খোলা আলমারী তল্লাশি শুরু করে।
শব্দ পেয়ে মারুফা জেগে উঠে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে মহসিন তার শাবল দিয়ে মারুফার মাথায় আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে মারুফা মাটিতে লুটিয়ে পরেন।
মারুফার গোঙাণী আর রক্ত দেখে মহসিন দ্রুত বেলকোনি দিয়ে পাশের বাসার ছাদে চলে যায়। সেখানে নির্মানাধীন আরেকটি বিল্ডিংয়ে ফজরের আজান পর্যন্ত অবস্থান নেয়। তারপর আজানের সময় ওই বিল্ডিং থেকে নেমে লঞ্চে করে ভোলা চলে যায়।
হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ছয়মাস পরে এসআই ফিরোজ আলম মুন্সী মারুফার ঘাতক মহসিনকে চট্রগামের পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে ১৭ এপ্রিল ২০১৯ আটক করে। মহসিনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার খানাকুনিয়ারী গ্রামে।
প্রসঙ্গত, মারুফা এয়ারপোর্ট থানাধীন ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী জহিরুল হায়দার চৌধুরী ওরফে স্বপন প্রগতি ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে সহকারী ব্যবস্থাপক (উন্নয়ন) হিসেবে ঢাকা মিরপুর শাখায় চাকুরি করতেন।