 
                                            
                                                                                            
                                        
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ সময় বুলডোজার দিয়ে পাকা স্থাপনাসহ ছোট-বড় দুই শতাধিক দোকানঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
১১ নভেম্বর, সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর ব্যস্ততম সড়ক রূপাতলী জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে সাগরদীর পুল পর্যন্ত এই অভিযান অভিযান চালায় সড়ক বিভাগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, উচ্ছেদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিং করা হয়েছে। অনেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। আমরা আজ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছি। বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে দপদপিয়া পর্যন্ত সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপদের জমি লিজ নিলেও ক্ষমতার দাপটে বেশ কয়েক বছর ধরে তা নবায়ন করনি ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি অনেকে অবৈধভাবে দখল করে সেখানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিল। আর ওই জমি উদ্ধারের জন্য এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে আর এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। ।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় গড়ে ওঠা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্বাধিকারীদের মধ্যে অনেকেই বৈধ কাগজপত্র থাকার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ নগরের রূপাতলী এলাকায় সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের জমি দখল করে গড়ে ওঠা মার্কেটের দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, তারা বিগত সরকারের সময় আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে দোকানগুলো নিয়েছেন। সেই সরকারের সময় সড়ক ও জনপদের উচ্ছেদ অভিযান হলেও এগুলো ভাঙা হয়নি। কিন্তু এবারে এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাই জীবিকার একমাত্র ভরসাস্থল হারিয়ে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। এখন তারা ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযানে সহযোগিতা করেন বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ।