যার প্রতিটি পদচারণা সমাজের অবহেলিত,অসহায় ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দুয়ারে! সেই মানুষটির কোমল হৃদয়ের ছোঁয়ায় এবার মাথা গোজার ঠাই মিললো বাবুগঞ্জে উপজেলার অর্ধশতাধিক গৃহহীন পরিবারের। তাদের মাথার উপর শীতল ছায়া হয়ে দাঁড়ালেন বাবুগঞ্জে সন্তান,সমাজ সেবক, ঢাকা মহানগর(উত্তর) যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি সালমা আক্তার। তার নিজস্ব প্রচেষ্টায় উপজেলার অর্ধশতাধিক গৃহহীন অসহায়-দুস্থ পরিবার বসতঘর পেলেন। বাবুগঞ্জ উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের ৬৭ টি পরিবারের মাঝে অতিশিগ্রই এ ঘর বরাদ্ধ দেয়া হবে। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় এ আবাসনের ব্যবস্থা করলেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাবুগঞ্জ উপজেলার অসহায় গৃহহীন মানুষের সুখ দুঃখের অংশীদার হতে উপজেলার অর্ধশতাধিক পরিবারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রায়ণ প্রকল্প-২এর আওতায় আবাসনের ব্যবস্থা করেন। উপজেলা রহমতপুর,চাঁদপাশাসহ কয়েকটি ইউনিয়নের ৬৭ পরিবারের জন্য এ আবাসনের বরাদ্ধ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ছালমা আক্তার। বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের লোহালিয়া গ্রামের জন্ম নেওয়া সমাজ সেবিকা সালমা আক্তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে বহু অসহায় মানুষের সাহায্যে নিজেকে সমর্পন করেছেন। ইতঃপূর্বে সালমা আক্তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে রহমতপুর ইউনিয়নের শারীরিক প্রতিবন্ধী ইয়াসমিনের চিকিৎসার জন্য অর্থসহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও লোহালিয়া গ্রামের ইরান ঘরামী,ফজিলা আক্তার,বাবুল তালুকদার,চাঁদপাশা ইউনিয়নের দেলোয়ার বেপারীসহ শতাধিক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সেবায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বিনা চিকিৎসায় পঙ্গত্ব বরণের পথযাত্রী পুলিশ কর্মকর্তার মা মনোয়ারা বেগমকে । নিজগ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করণকল্পে তিনি তৈরি করেছেন সালমা বিনতে হেলাল সড়ক। উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে সরকারী ও ব্যক্তিগত ভাবে অনুদানের ব্যবস্থা করেছেন।
রহমতপুর এলাকার দশটি পরিবারকে বিদ্যুতের আলোয়ে আলোকিত করেছেন। এ ছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে বাবুগঞ্জে বেশকিছু গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ব্যয়ভার বহন করছেন। উপজেলার বেশকিছু শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করে তাদের কর্মস্থান সৃষ্টি করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালমা আক্তার বলেন স্বদিচ্ছা থাকলে মানব সেবা করা সম্ভব। মানব সেবা করতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয়না। তবে সাধারণ জনগন চাইলে আগামীতে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনসেবায় আসতে চায় সালমা আক্তার।