
পাশাপাশি পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি জানান বাইকাররা।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টায় বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে দাবি আদায়ে মানববন্ধনের আয়োজন করে বরিশাল বাইকিং কমিউনিটি।
মানববন্ধনে বরিশালের সর্বস্তরের বাইকার ও নারী বাইকাররাও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বাইকাররা অভিযোগ করেন, শহরে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না।
মহাসড়কে ১২৬ সিসির নিচে ক্ষমতার মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। মহাসড়কে আরোহী পরিবহন করা যাবে না। ঈদ-পূজার আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। এই নীতিমালা গ্রহণযোগ্য নয়। এই নীতিমালা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
তারা বলেন, সড়কে সাইকেল বা রিকশার গতি ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার। মোটরসাইকেলের মতো একটি বাহনের সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম লাবু, দিলরুবা রেজা (লেডি বাইকার), জিএম রিমন, ফজলে রাব্বি, মো. জাহিদুল ইসলাম সহ বরিশালের বাইকারবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত ৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মোটরসাইকেল চলাচলের খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দূরের পথে মহাসড়কসহ সর্বত্র মোটরসাইকেলের চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে উৎসবের সময় মোটরসাইকেলের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটছে। এ জন্য মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
নীতিমালায় ঈদের সময় মহাসড়কে ১০ দিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় যুক্ত করেছে কমিটি।