 
                                            
                                                                                            
                                        
বরিশালে পিডিবি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের শাস্তির দাবীতে ওয়ার্কশপ ও গ্যারেজ মালিক শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছে। এতে করে বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে বরিশালের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে গাড়ি মেরামতের কাজ।
জানা গেছে, বরিশালের প্রায় দেড়শতাধিক ওয়ার্কশপ ও গ্যারেজে এই ধর্মঘট চলছে।
বরিশাল নথুল্লাবাদের বেশ কয়েকজন বাস মালিক জানান, ওয়ার্কশপ বন্ধ থাকায় বাস মেরামত সম্ভব হচ্ছে না। কাজ পুরো বন্ধ হয়ে রয়েছে, এতে করে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে আমাদের।
এদিকে বরিশাল বিদ্যুৎ বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের অপসারনের দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে মোটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সদস্যরা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের দফতরে স্বারকলিপি প্রদান করে।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩ দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন মোটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বরিশাল মোটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের গাড়ি মেরামতে অপারগতা প্রকাশ করায় বলাকা ওয়ার্কশপের বিদ্যুতের লাইন কেটে তারসহ মিটার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিচারকের দায়িত্ব পালন করা একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সামান্য বিষয় নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন এই ধরণের দৃষ্টান্ত খুব একটা শোনা যায় না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের অপসারন ও বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন না করা হলে ৩ দিনের কর্ম বিরতি এরপর তারা দেশব্যাপী কর্মবিরতিতে যাবেন।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. শেখ জামাল হোসেন, সহ-সভাপতি মো. কামাল সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল আসলাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সহ-সাধারন সম্পাদক মো. মামুন প্রমূখ।
বরিশাল মোটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সভাপতি নির্মল চন্দ্র দাস জানান, বুধবার দুপুরে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানের গাড়িচালক সোহেল তাকে ফোন দেন। ফোনে সোহেল জানান, তিনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান স্যারের সঙ্গে পটুয়াখালী শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছেন। তাদের গাড়ি বিকল হয়ে গেছে। মেরামতের জন্য দ্রুত মিস্ত্রি পাঠাতে হবে।
নির্মল চন্দ্র দাস জানান, যেখানে গাড়িটি বিকল হয়েছে তার দূরত্ব বরিশাল নগরী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। এছাড়া পূজার ছুটি শেষে মিস্ত্রি না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। তাদের অনুরোধ করি অন্য কোথাও থেকে মিস্ত্রির ব্যবস্থা করতে। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িচালক সোহেল বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। সোহেল মিস্ত্রি না পাঠানোর বিষয়টি মনে থাকবে বলে ফোন কেটে দেন। এই ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ অফিস থেকে একজন সহকারী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে কয়েকজন এসে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই গ্যারেজের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে তারসহ দুটি মিটার কেটে নিয়ে যায়। জিজ্ঞেস করলে তারা ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে বলেন।