 
                                            
                                                                                            
                                        
বরিশাল নগরীতে এক পত্রিকা এজেন্সী’র স্বেচ্ছাচারিতায় দুর্ভোগে পড়েছে সংবাদপত্র বিপনন কর্মীরা। পত্রিকা ছাপানোর পর থেকে পাঠকবৃন্দের নিকট পৌঁছাতে সংবাদপত্র হকারদের ভূমিকা অপরিসীম।
আর তাদের আয়ের একমাত্র উৎস পত্রিকা বিক্রী। তারা এই পত্রিকা বিক্রীর সামান্য আয় দিয়েই তাদের পরিবার পরিজনের ভরণ পোষণ করে থাকেন।
কিন্তু বরিশালের এক পত্রিকা এজেন্সী’র মালিকের স্বেচ্ছাচারিতা ও অশালীন আচরণে তাদের আয়ের পথ বন্ধ হতে চলেছে।
পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। আর এরই প্রেক্ষিতে সর্বশেষ তারা এক প্রতিবাদ সভা করেন। গতকাল বিকালে বরিশাল সদর সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সদস্যরা স্টিমারঘাটে প্রতিবাদ সভা করেন।
এসময় সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে সদস্যদের একাট্টা হওয়ার আহবান জানান। সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বাদল বলেন, করোনা মহামারী সময়কালীন হকাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন।
এ পত্রিকা বিক্রী করেই আমাদের সংসার চলে। কিন্তু এক এজেন্সীর মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি জানান, নগরীর এম রহমান এজেন্সীর কর্নধার হারুন অর রশিদ ঢাকায় জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডেইলী স্টারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আঁতাত করে একক এজেন্সী মালিকানা আনেন।
এখন তার কাছ থেকে পত্রিকা আনতে গেলে সে আগের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য দাবি করে। যা পত্রিকা হকারদের দেয়া সম্ভব না।
আর তাই তিনি এক তৃতীয়াংশ হকারকে এসব পত্রিকা থেকে বঞ্চিত করেন। এছাড়াও পত্রিকার হকারদের সাথে তিনি অশালীন আচরণ করেন। যার কারনেই সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সদস্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বাদল আরো জানান, আগামী ৩ দিনের মধ্যে বরিশালের অন্য ৩ এজেন্সীকে বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ ও ডেইলি স্টার পত্রিকা সাপ্লাই না দিলে বরিশালে সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সদস্যরা এই ৩ পত্রিকা বিক্রী বর্জন করার ঘোষণা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বরিশাল আব্দুর রব সেরনিয়াবাত প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ, দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকার সম্পাদক মির্জা রিমন, বরিশাল সদর সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হানিফ হাওলাদারসহ সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।