 
                                            
                                                                                            
                                        
বরিশালের বারেকগঞ্জ পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে গভীর নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। যা দিয়ে চলছে রান্নার কাজও।
নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস বের হওয়া দেখতে স্থানীয়রাও ভিড় করছেন ওই ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মোল্লার বাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেক মোল্লার বাড়িতে কয়েকদিন আগে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য বোরিং (গর্ত খনন) কাজ শুরু করলে সেখান থেকে গ্যাস বেরুতে শুরু করে। আর গর্ত করে কয়েক’শ ফুট গভীরে যাওয়ার পরপরই গ্যাসের বিষয়টি দেখতে পান শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, গভীর নলকূপ বসানোর জন্য গর্ত করার পর থেকেই গ্যাসের চাপ অনুভব করি। ২শ ফুট নিচে যাওয়ার পর এই চাপ আরও বাড়তে থাকে। ওই সময় গ্যাসের বিষয়টি আমাদের মাথায় আসেনি। আমাদের ধারণা ছিল মাটির জন্য হয়তো এমনটি হচ্ছে। ৮শ ফুট নিচে যাওয়ার পর আমরা গ্যাসের বিষয়টি নিশ্চিত হই। এমনকি আগুন জ্বালিয়ে তা পরীক্ষা করি। এরপর নলকূপ বসানোর কাজ বাদ দেই। এখন সেই গ্যাসে রান্নার কাজ চলছে।নলকূপের পাইপ দিয়ে বের হওয়া গ্যাসে রান্না হচ্ছে ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলিম জমাদ্দার , এক সপ্তাহ আগে খালেক মোল্লার বাড়িতে গভীর নলকূপ বসানোর কাজ শুরু হয়। ৮০০ ফুট গভীরে যাওয়া পর গ্যাস ওঠা শুরু হয়। সোমবার থেকে এ গ্যাসের চাপ বাড়তে থাকে। এরপর ওই বাড়ির নারীরা ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে সেখানে রান্না শুরু করেছেন। গ্যাসের চাপ ভালো থাকায় রান্নার কাজ সহজেই হচ্ছে। এ খবর শুনে আমি সরেজমিন নিশ্চিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বিষয়টি জানিয়েছি।
কাউন্সিলর আরও জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে ইউএনও মাধবী রায় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়ির লোকজনকে আগুন জ্বালিতে এভারে রান্না না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। মাটির নিচ থেকে জ্বালানি গ্যাস ৩ থেকে ৪ দিন বের হয়ে আবার শেষ হয়।
ইউএনও পরিদর্শনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলে আপনাদের (সাংবাদিক) জানানো হবে।