অনলাইন ডেস্ক: বর্ষা মৌসুমে এক ঘন্টা মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোডসহ অন্যান্য সড়ক। পৌরসভা থেকে সিটি কর্পোরেশনে রূপ নেয়া এ নগরীর জন্য সরকারী অনুদান ও বিদেশ থেকে প্রাপ্ত অর্থে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ড্রেন দিয়ে পানি প্রবাহ বাঁধাগ্রস্থ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
স্লাব ও টাইলস্ দিয়ে ঢেকে রাখা বা বক্সকালভার্ট ড্রেনগুলোর ভেতরের চিত্র আরও ভয়াবহ। দীর্ঘ বছর পর পরিকল্পিতভাবে নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে অতিসম্প্রতি নবনির্বাচিত মেয়র উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। প্রথমে ড্রেনগুলোর অবস্থা ও পরিস্কার করার জন্য মেয়রের নির্দেশ পালন করতে গিয়েই মিলেছে বিপত্তি।
সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নগরীর ড্রেনগুলোর ময়লা অপসারণ করতে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন চার ফুট গভীর ড্রেনের তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট মাটির স্তর জমে আছে। দীর্ঘদিন আটকে থাকায় জমাট বেঁধে গেছে ওই মাটি। নগরীর অধিকাংশ ড্রেনের একই অবস্থা চলে জানিয়েছেন বিসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম।
সিটি কর্পোরেশনের তরুন কৌশলী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পূর্বে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত পানি নিস্কাশনের ড্রেনগুলো দীর্ঘদিন থেকে যথাযথভাবে পরিস্কার না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর এ জন্যই সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো নগরীর সড়কগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মাটি জমার জন্য মূলত দায়ী আশপাশের নির্মাণাধীন ভবন মালিকরা। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিসিসির দায়িত্বশীলদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান জানান, দায়ী ভবন মালিকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।