নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ এর ডক্টরস হোস্টেল এর সামনের রাস্তা নির্মান ও মেরামত করার জন্য একটি মহল পায়তারা চালিয়ে, অবশেষে সফল হলো।
কিছুদিন পূর্বে গনপূর্ত অধিদপ্তরে দরপত্র আহ্ববান করা হয়,যাহার দরপত্র সূত্র নং-pwd/130/l/fund-138-88/E/M/2018-19 উক্ত দরপত্রে বহু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করে। অদ্যাবদি পর্যন্ত এই দরপত্রের সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচন করা হইনি এবং কোনো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ ইস্যু করা হইনি।
কোনো প্রকার কার্যাদেশ ব্যাতীত,কোনো এক অজানা শক্তির বলে,যুবদল নেতা,রিয়াজ ও সাবেক বরিশাল কলেজ এর এক ভিপি জাকির দুজনে মিলে,ডক্টরস হোস্টেল এর সামনের রাস্তাটি মেরামত ও নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু করে।
আজ দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে জানাযায়, অত্যন্ত নিম্ন মানের মালামাল ও সিডিউল এর নিয়ম অনুসরণ না করে, চরম দূর্নীতি করে কাজটি চালিয়ে যাচ্ছে।
চলমান রাস্তা নির্মাণের কিছু ছবি তোলা হয়। এক্ষেত্রে ঠিকাদার এর লোকজন বাঁধা দেয়, উপস্থিত ঠিকাদারের প্রতিনিদির কাছে এই কাজের বিপরীতে বরিশাল গণপূর্ত অধিদফতর এর পক্ষ হইতে,কোনো ঠিকাদারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান এর বিপরীতে ওয়ার্ক অর্ডার এর কপি দেখতে চাইলে, তারা দেখাতে সক্ষম হয়নি।
শের ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের গনপূর্ত বিভাগের দায়িত্বরত উপ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তোজাম্মেল সাহেবের মোবাইল (নম্বরে-০১৭১২-২৯৩৪৫৯) কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
সাগরদী নিবাসী যুবদল নেতা, রিয়াজ এর মুঠোফোন এ কল দিলে, নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়, আজ দুপুরে এলাকাবাসী কাজটি বন্ধ করে দেন।
এই খবর শুনে প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে, উপস্থিত ওই এলাকার বাসিন্দা প্রতিনিধি কে জানান, এলাকাবাসী কাজটি বন্ধ করার জন্য গণপূর্ত অধিদফতর এর নির্বাহী প্রকৌশলী কে,অবহিত করেছেন এবং গণপূর্ত অফিসে খোজ নিয়ে দেখেন,এই কাজের বিপরীতে কোনো ওয়ার্ক অর্ডার নাই এবং এখন পর্যন্ত দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির পক্ষ হইতে, কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সর্বনিম্ন দরদাতা নির্বাচিত করা হই নাই।
এক্ষেত্রে সম্পূর্ন বেয়াইনি ভাবে বরিশাল কলেজের সাবেক ভিপি ফরহাদ বিন জাকির ও মহানগর যুবদল নেতা রিয়াজ গনপূর্ত বিভাগের কার্যাদেশ ব্যাতিত কাজটি করিতেছে। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মূখে ঠিকাদার দুজন কাজটি বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এক্ষেত্রে সকল মহলের প্রশ্ন হলো, একজন যুবদল নেতা,কোন খুটির জোরে ওই ডক্টরস হোস্টেল এর সামনের রাস্তাটি মেরামত ও নির্মাণ করতেছেন?