 
                                            
                                                                                            
                                        
বাল্যবিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিলো। শুধুমাত্র ১০০জন বরযাত্রীদের কনের বাড়িকে আসার অপেক্ষা ছিলো। এজন্য বিয়ের গেট, সু-বিশাল প্যান্ডেল ও অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য রান্নার কাজও শেষ করা হয়েছে। দুপুর সাড়ে বারোটার সময় বরযাত্রীর পরিবর্তে কনের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে হাজির হলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। থানা পুলিশ নিয়ে ইউএনও’র উপস্থিতির খবর পেয়ে পালিয়ে যায় কনের বাড়িতে আসা অন্যান্য মেহমান।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে জেলার গৌরনদী উপজেলার বাঙ্গিলা গ্রামে। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়ে কনের পরিবারের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। একইসাথে নিজে (ইউএনও) বসে থেকে বিয়ের গেট ও প্যান্ডেল ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি বরযাত্রীদের জন্য রান্না করা খাবার এলাকার গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করেন।
জানা গেছে, উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঙ্গিলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী সিরাজ সরদারের কন্যা ও চাঁদশী ঈশ্বর চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনির ছাত্রী অপি আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রাজদী গ্রামের তোতা হাওলাদারের পুত্র রবিন হাওলাদারের রবিবার বিয়ে দিন তারিখ ধার্য্য করা হয়। এ খবর পেয়ে উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা নাছরিন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খালেদা বেগম একদল পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হয়ে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দিয়ে কনের পরিবারের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। উল্লেখ্য, এনিয়ে গত এক সপ্তাহে গৌরনদীতে পাঁচটি বাল্যবিয়ে পন্ড করে দিয়েছেন উপজেলা নিবার্হী অফিসার খালেদা নাছরিন।
অপরদিকে বাঙ্গিলা থেকে ফেরার পথে একই আদালতের বিচারক খালেদা নাছরিন টরকী বন্দর মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে এক মন জাটকা ইলিশ জব্দ করেন। জব্দকৃত জাটকা বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।