বরগুনায় ৫ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে নাইম (১৫) নামের এক গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার শহরের উপকণ্ঠে সোনালী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুটির মা জানান, এ বছর তার মেয়েকে স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর থেকে ওই এলাকার দুলালের ছেলে নাইম মাসখানেক ধরে তার মেয়েকে বাসায় এসে পড়াতো। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও পড়ানোর জন্য নাইম বাসায় আসে। এ সময় তিনি গোসল করতে যান। সে সুযোগে নাইম মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করে। তখন মেয়ের চিৎকার শুনে তিনি তড়িঘড়ি বাথরুম থেকে বের হয়ে আসলে সে তাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না শুরু করে।
এর পর নাইম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করে। পরে তিনি চিকিৎসার জন্য মেয়েকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোহাম্মদ আল্লামা তালুকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে ধর্ষক নাইমকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, ওই শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে নাইম। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।